১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মাত্র এক কেজিতে এক স্বর্ণ মিস

রুপা জিতেছেন সাখাওয়াত হোসেন প্রান্ত - ছবি : নয়া দিগন্ত

আর মাত্র একবার ভার উত্তোলন করতে হবে সাখাওয়াত হোসেন প্রান্তকে। সেটিই উঠাতে পারলেন না ৮৯ কেজি ওজন শ্রেণীর এই লিফটার। ক্লিন অ্যান্ড জার্কের শেষ লিফট চলছিল। বাংলাদেশের ভারোত্তলনের সবার চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। বাংলাদেশের পতাকা প্রান্তকে দেয়ার জন্য কোচ, কর্মকর্তারা প্রস্তুত। কিন্তু না পারলেন না তিনি। মাত্র এক কেজি কম উঠানোয় হেরে গেলেন নেপালের বিকাশ থাপার কাছে। গলার পদকের রংও বদলে গেল। সোনা থেকে হয়ে গেল রুপা।

১৪৯ কেজি উঠাতে পারলে গেমসে আরেকটি স্বর্ণের স্বাদ পেত বাংলাদেশ। শেষ লিফটে প্রান্ত প্রত্যাশিত ওজন তুলতে পারেননি। নেপালের বিকাল থাপাও ১৫০ কেজি তুলতে ব্যর্থ হন। এতে বাংলাদেশের আফসোস আরো বেড়েছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় ভারত্তোলনের কোচ বিদ্যুৎ কুমার রায় বেশ আফসোস নিয়েই বলছিলেন, ‘মাত্র এক কেজির জন্য স্বর্ণ হাতছাড়া হলো। এখানে আমাদের জাতীয় সংগীত বাজতে পারতো।’

শেষ লিফট দুজনই ব্যর্থ হওয়ায় ক্লিন অ্যান্ড জার্কের দ্বিতীয় লিফটের স্কোরই শিরোপা নির্ধারণ হয়। ওই লিফটে প্রান্ত তুলেছিলেন ১৪৫ কেজি আর বিকাশ তুলেছিলেন ১৪৬। স্ন্যাচে দুজনেই সমান ১২৩ কেজি নিয়ে শেষ করেছিলেন। স্ন্যাচে নেপালের বিকাশ দ্বিতীয় লিফটে ১২০ কেজি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হলেও স্ন্যাচে তিনবারই সফল ছিলেন প্রান্ত। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ও স্ন্যাচ মিলিয়ে বিকাশ মোট ২৬৯ কেজি উঠান আর প্রান্ত তুলেন ২৬৮ কেজি।

এক কেজি ব্যবধানে হেরে কি বলবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না এই ভারোত্তোলক, ‘আফসোস হচ্ছে অনেক। দেশকে স্বর্ণ দিতে পারলাম না। শেষ লিফট হলেই স্বর্ণ। এটা সত্যি, খানিকটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি শেষ লিফটে পা একটু পিছলেও গিয়েছিল।’

ভারোত্তলন ফেডারেশনের দুই যুগের বেশি সময় সাধারণ সম্পাদক থাকা মহিউদ্দিন আহমেদ অবশ্য হতাশ নন, ‘প্রান্ত আমাদের সম্ভাবনাময়ী ভারোত্তলক। স্বর্ণ মিস হওয়ায় মোটেও হতাশ নই। তবে খুব আফসোস লাগছে। আরেকটি স্বর্ণ যোগ হতে পারতো। সামনে আরো অনেক গেমস খেলব। আশা করি সেখানে স্বর্ণ দিতে পারব।’

প্রান্তর আগের ইভেন্টে আরেকটি রৌপ্য এসেছে বাংলাদেশের। রোকেয়া সুলতানা সাথী। একজন মা। একজন ফাইটার। ২০১৬ সালে গৌহাটি ও শিলং সাউথ এশিয়ান গেমসে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। এরপর নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ২০১৯ এসএ গেমসের জন্য। টার্গেট ছিল সোনায়। কিন্তু মহিলা ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে ১৫৫ ( ¯œ্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কসহ) কেজি তুলে রৌপ্য জেতেন রুকাইয়া সুলতানা সাথী।

১৯২ কেজি তুলে এই ইভেন্টের স্বর্ণ জেতেন ভারতের মানপ্রিত কৌর।

২০১৬ সালে গৌহাটি গেমসেও রৌপ্য জিতেছিলেন সাথী।

রৌপ্য থেকে স্বর্ণ জয়ের ব্যবধান সম্পর্কে এই অভিজ্ঞ ভারোত্তলক বলেন, ‘আমাদের আরো প্রস্তুতি ও উন্নত কোচিং দরকার। অল্প দিনের প্রস্তুতিতে ভারত ও অন্য দেশের উন্নত ভারোত্তলকদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম বেশ কিছু দিন। অনুশীলন ও মনোযোগের ঘাটতি ছিল শুরুতে। এরপরও রৌপ্য পেয়ে খুশি।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল