২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

চীন কোনোদিনই আমেরিকাকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না!

আগে পূর্বাভাস ছিল খুব দ্রুতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে চীনের অর্থনীতি। - ছবি : সংগৃহীত

কোভিড মহামারীর ঠিক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক অর্থবিষয়ক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের অভিমত ছিল, খুব দ্রুতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে চীনের অর্থনীতি।

তাদের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি সত্যিই তাক লাগানোর মতোই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই চিত্রের বেশ খানিকটা বদল ঘটেছে। মার্কিন মুলুককে ছাড়িয়ে চীনের অর্থনীতি যে টেক্কা দিতে পারবে, এ বিষয়ে এখন সন্দিহান অর্থনীতিবিদেরা। মন্দার বাজারে বেশ খানিকটা মন্থর গতিতে এগোচ্ছে চীনা অর্থনীতি এবং তা কখনোই আমেরিকাকে টেক্কা দেয়ার মতো জায়গায় নেই।

ব্লুমবার্গের মতে, এমন পূর্বাভাস ছিল যে চীনের জিডিপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে এখন মনে করা হচ্ছে ২০৪০-এর দশকের আগে পর্যন্ত এমন কোনো সম্ভাবনাই কার্যত নেই। এবং সেটা হলেও খুব অল্প সময়ের জন্যেই হবে, তারপরেই আমেরিকা আবারো এগিয়ে যাবে।

ব্লুমবার্গ ইকোনোমিস্ট জানিয়েছে, চীনের আর্থিক বৃদ্ধির হার তাদের প্রত্যাশার থেকে অনেকটাই কম। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি গত তিন বছরে ৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি ঘটাতে পেরেছে। মহামারী ও সম্পত্তিগত সংকট দেশটিকে বিপর্যস্ত করার কারণে কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে ধীরগতির অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটছে চীনের।

রফতানি কমে যাওয়া এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় গভীর মন্দার কারণে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ চীনের পক্ষে। ব্লুমবার্গের সমীক্ষা বলছে, ২০২৪ এ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের কম হয়ে যেতে পারে চীনে। এছাড়াও ২০৩০-এ সাড়ে ৩ শতাংশ ও ২০৫০-এ ১ শতাংশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জিডিপি বৃদ্ধির হার, যা আগের পূর্বাভাসের থেকে অনেকটাই কম।

শুধু সাময়িক কিছু ইস্যু নয়। দীর্ঘমেয়াদি বেশ কিছু সমস্যাও চীনকে চাপে রেখেছে। প্রায় ৬০ বছর বাদে প্রথমবার জনসংখ্যা কমেছে দেশে। আগামী দিনে উৎপাদনে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, সেটা সময়ই বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থার বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমী দেশগুলোর সাথে সংঘাতও ব্যবসার জন্য ভালো নয়।

উল্টো দিকে আমেরিকার হাল সবাই যতটা খারাপ হবে ভেবেছিল, ততটা হয়নি। মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে, চাকরি-বাকরি পাচ্ছে মানুষ, মানুষের চাহিদাও বাড়ছে পণ্য ক্রয়ের জন্য। এর ফলে চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি, মন্দাতে চলে যাওয়ার সমস্যাও কমেছে। ২০৫০ সালেও দেড় শতাংশ হারে আমেরিকার জিডিপি বৃদ্ধি পাবে যা চীনের থেকে বেশি হবে। তবে চীনের পক্ষে এখনো অনেকগুলো ইতিবাচক ফ্যাক্টর আছে। অতবড় অর্থনীতি, টেক সেক্টরে উন্নতির সম্ভাবনা ইত্যাদির ওপর ভরসা রাখছে বিশ্ব। কিন্তু তারা কি আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারবে। সেই সম্ভাবনা কিছুটা হলেও আগের থেকে ফিকে হয়ে গেছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে : পলক অস্ত্রবিরতির জন্য হ্যারিসের আহ্বান, সমালোচনায় ইসরাইলি কট্টরপন্থিরা আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী ‘ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করার পর হাত-পা বেঁধে ফেলেছি’ নাশকতাকারীদের ছাড় দেয়া হবে না : ডিবিপ্রধান হারুন সিলেটে আজ কারফিউ শিথিল ১২ ঘণ্টা কোটা আন্দোলন : পূর্ব রেলের ক্ষতি ২২ কোটি টাকা সাগরে লঘুচাপ, ৬০ কিমি বেড়ে ঝড়ের আভাস পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যারিস অলিম্পিক্স : গণহত্যা চালানো নদীতে লাল গোলাপ দিলো আলজেরিয়া মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরাইল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে!

সকল