যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি : তাইওয়ানি প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাত করলে কঠোর ব্যবস্থা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৫
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202303/737719_179.jpg)
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি যদি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ-ওয়েনের সাথে সাক্ষাত করেন, তবে 'কঠোর প্রত্যাঘাত' করা হবে বলে চীন হুমকি দিয়েছে। গুয়েতেমালা ও বেলিজ সফরের পথে তাইওয়ানি প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি করার কথা রয়েছে। এ সময় ওই সাক্ষাত হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় ম্যাকার্থির সাথে সাক্ষাতের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কোনো পক্ষ দেয়নি।
চীন দাবি করছে যে তাইওয়ান হলো তার নিজস্ব ভূখণ্ড। তারা বারবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে। তারা মনে করে, এ ধরনের সাক্ষাত তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করবে।
চীন গত আগস্টে ওই সময়ের মার্কিন পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের চার দিকে সামরিক মহড়া চালায়।
চীনের তাইওয়ানবিষয়ক দফতরের মুখপাত্র ঝু ফেঙলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যাত্রাবিরতি কেবল বিমানবন্দর বা হোটেলে অপেক্ষা করার জন্য নয়, বরং মার্কিন কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সাক্ষাত করার জন্য।
তিনি বলেন, তাইওয়ানি প্রেসিডেন্ট যদি মার্কিন হাউস স্পিকার ম্যাকার্থির সাথে যোগাযোগ করেন, তবে তা এক চীন নীতির মারাত্মক লঙ্ঘনে আরেকটি প্ররোচনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।
তিনি বলেন, আমরা এর তীব্র বিরোধী এবং অবশ্যই কঠোরভাবে প্রত্যাঘাত করব। তিনি অবশ্য এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাইওয়ানি প্রেসিডেন্টদের এ ধরনের ট্রানজিট প্রায়ই হয়ে থাকে, চীন এটাকে আগ্রাসী পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
চীন মনে করে তাইওয়ান তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে তারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্য কোনো দেশের সাথে যোগাযোগ করার অধিকার নেই। তবে তাইওয়ান কিন্তু চীনের এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে করে না।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা