২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চীনে স্বর্ণের নতুন খনি আবিষ্কার

চীনে স্বর্ণের নতুন খনি আবিষ্কার - ছবি : সংগৃহীত

চীনে স্বর্ণের নতুন একটি খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে চীনে সোনার ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হলো। নতুন খনিতে ৫০ টন স্বর্ণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পূর্ব চীনের শ্যানডং প্রদেশ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রদেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। শ্যানডঙের মাটিতেই লুকিয়ে চীনের এই গুপ্তধন।

খনিজ পদার্থে বরাবর সমৃদ্ধ শ্যানডং। এই প্রদেশে সোনার একাধিক খনি রয়েছে। সেখানেই নতুন আরো একটি সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। যা শ্যানডঙের এখন পর্যন্ত বৃহত্তম।

শ্যানডঙের রুশান এলাকায় এই সোনার খনির নাম শিলাওকোউ খনি। চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই নতুন খনিতে আনুমানিক ৫০ টন সোনা থাকতে পারে, মনে করছেন গবেষকেরা।

শ্যানডঙের ওই এলাকায় যে নতুন খনির সন্ধান মিলতে পারে, তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে খনির খোঁজ পেলেন ভূ-তত্ত্ববিদেরা।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিলাওকোউ খনিতে অপরিশোধিত অবস্থায় যে সোনা রয়েছে, তা অত্যন্ত উচ্চ মানের। সহজেই তা পরিশোধন করে কাজে লাগানো যাবে।

চীনে সোনার অভাব নেই। এই দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র সোনার খনি। প্রকৃতি যেন দু’হাত খুলে সোনাদানায় ভরিয়ে দিয়েছে চীনকে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নেও এই হলুদ ধাতুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

চীন এই মুহূর্তে বিশ্বের সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বিশ্বের স্বর্ণ ভাণ্ডারের অন্তত ৯ শতাংশ কেন্দ্রীভূত এই চীনেই।

গত বছর শ্যানডঙের জিয়াওজিয়া খনি থেকে ১০ টন সোনা উৎপন্ন করা হয়েছিল, যা একক খনির পক্ষে সর্বোচ্চ উৎপাদন।

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সমগ্র চীনে খনিজ সোনার পরিমাণ এক হাজার ৮৬৯ টন। যার বেশির ভাগই রয়েছে শ্যানডঙে।

সোনার উৎপাদনে চীন এগিয়ে থাকলেও বৃহত্তম সোনার ভাণ্ডারে শীর্ষে আমেরিকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মোট খনিজ সোনার পরিমাণ ৮ হাজার ১৩৩ টন। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৩৯ লাখ কোটি টাকা।

সঞ্চিত সোনার ভাণ্ডারের নিরিখে আমেরিকার পরেই রয়েছে জার্মানি। তার পর যথাক্রমে ইতালি, ফ্রান্স, রাশিয়া। এই তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে চীনের নাম। অথচ, সোনার ভাণ্ডারে পিছিয়ে থাকলেও চীন সর্বোচ্চ সোনা উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে সহজেই।

চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোনা উৎপন্ন হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তার পর তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো এবং ঘানার মতো দেশ।

সম্প্রতি ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিপর্যয়ে আমেরিকার অর্থনীতি কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি। এই পরিস্থিতিতে চীনে নতুন সোনার খনির আবিষ্কার তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের অগ্রগতিকে আরো ত্বরাণ্বিত করবে এই শিলাওকোউ খনি। চলতি বছরে আবিষ্কৃত সোনার খনিগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement