আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধের বিষয়ে কারখানা মালিকদের আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে।
সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক কারখানা মালিক শ্রমিকদের নেতা, পরিবহন মালিকদের প্রতিনিধিরাও।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব, জেলা পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করবেন। যানজট নিরসনে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে যানজট পরিস্থিতি মনিটর করবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন সড়কে স্থায়ী ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে নির্দিষ্ট স্থানে যানজট প্রবণ এলাকায় র্যাকার থাকবে। ড্রোন ব্যবহার করা হবে। সড়ক, মহাসড়কে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঈদুল ফিতরের ছুটির সময় বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক, নৌপথে আকস্মিক দুর্ঘটনা উদ্ধারকাজের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরিসহ ফায়ারসার্ভিসের সকল সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন। প্রয়োজনে কোস্টগার্ড সঙ্গে থাকবে। শিল্প এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কোস্ট গার্ড প্রস্তুত থাকবে। সীমান্ত এলাকায় কোস্টগার্ড ও বিজিবি সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ সহ সবকিছু পুলিশকে যেকোনো স্থান থেকে যোগাযোগ করা যাবে। ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা রোধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সক্রিয় থাকবে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা