মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের প্রকল্প নিয়ে এক মতবিনিময় সভা গত মঙ্গলবার সকালে চসিক কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আবু শাহেদ চৌধুরী, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা এখলাছ উদ্দীন আহমদ এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা, ঢাকা গ্রন্থাকার অধিদফতরের পরিচালক এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী, চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন, গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন আহামদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো: ফিরোজ হাসান, মো: উজির আলী, মো: আসিকুর রহমান ভূঁইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাহুল গুহ, টিআইসির পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দার, পাবলিক লাইব্রেরির সহকারী পরিচালক মো: আব্বাছ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ পরিকল্পনায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বহুতলবিশিষ্ট দুটি নান্দনিক ভবন এবং শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে একটি দ্বিতল ক্যাফেটেরিয়া ও মিউজিয়াম রয়েছে। এই ভবন দুটির নিচে বেজমেন্টে পার্কিংস্পেস এবং শহীদ মিনারের পূর্বপাশে থাকবে উন্মুুক্ত মঞ্চ। রাস্তার এপার-ওপারে সংযুক্ত করে থাকবে প্লাজা। প্লাজার নিচ দিয়ে যথারীতি গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থাসহ প্লাজার উপরে নির্মিত হবে বর্তমান আঙ্গীকে নতুনভাবে শহীদ মিনার। সভায় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, সংস্কৃতি একটি জাতিসত্তার আত্মার পরিচয়। প্রকৃতির আলো বাতাস, জল, মৃত্তিকার স্পর্শে সাংস্কৃতিক অবয়বমূর্ত হয়। ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর চট্টগ্রাম একটি সংস্কৃতির উর্বর ভূমি। চট্টগ্রাম হলো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধশালী। এই কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আধুনিক নাট্যচর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি আরো সমৃদ্ধি হবে। সুস্থ ধারার নাট্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে আরো গতিশীল করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।