ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে গত ২৭ অক্টোবর ‘লবণাক্ততা প্রতিরোধী দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা তৈরির পথনির্দেশনা’ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী জি এম সাদিকুল ইসলাম। কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রের সম্মানিত সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দে, সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী এবং কারিগরি আলোচনা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এম এ রশীদ। অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী জি এম সাদিকুল ইসলাম তার প্রবন্ধে বলেন, কনক্রিটের গুণগত মানের ওপর পিলার, বহুতল ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনায় দীর্ঘস্থায়িত্ব নির্ভরশীল। নদীমাতৃক ও সাগরবেষ্টিত এ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লোনা পানির প্রভাবে কনক্রিটের গুণগতমান বজায় থাকে না। ফলে কনক্রিট দুর্বল হয়ে বিভিন্ন স্থাপনা অল্প সময়ে তিগ্রস্ত হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্রবেশের কারণে, সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে কনক্রিটের পিলারে লোনাপানির প্রসার এবং বাষ্পের মাধ্যমে সংমিশ্রিত হয়ে কনক্রিটের গুণগতমান ও স্থায়িত্ব নষ্ট করে। যথাযথভাবে ডিজাইন না হওয়া, সিমেন্ট বালি ও অন্যান্য উপকরণের সঠিক ব্যবহার না থাকায় কনক্রিট দুর্বল হয় ও রডে মরীচিকা ধরে। ফলে পিলার ও স্থাপনার স্থায়িত্ব কমে যায়। প্রধান অতিথি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন বলেন, সব স্থাপনার স্থায়িত্ব দীর্ঘ হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী হয়। টেকনাফ থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপনা তৈরির েেত্র লবণাক্ততা প্রতিরোধী প্রকৃত ব্যবস্থা গ্রহণে বিভিন্ন গবেষণা, স্থানভেদে ডিজাইন, মাঠপর্যায়ে আন্তরিকতা ও বাস্তবতার নিরিখে স্থাপনা এবং ভবন তৈরিতে প্রতিটি উপকরণ মিশ্রণে গুণগতমান ঠিক রাখতে হবে।