২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী

কমলা হ্যারিস - ছবি : সংগৃহীত

বারাক ওবামার পরে এ বার কমলা হ্যারিসকেও শুনতে হলো— ‘আপনি কালো, কিন্তু ততটাও কালো নন। আপনি মার্কিন নন, তাই ভোটে লড়ারও অধিকার নেই।’
ভোটের ময়দানে ফের বর্ণবিদ্বেষের ঝড় মার্কিন মুলুকে। হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নেমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও এমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল বারাক ওবামাকে। সেই এক প্রসঙ্গে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় লাঞ্ছিত হতে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিপাবলিকান সেনেটর হ্যারিসকেও। তাকে নিশানায় রেখে বর্ণবিদ্বেষমূলক একটি টুইটে সায় দিতে দেখা গেল খোদ প্রেসিডেন্ট-পুত্র জুনিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। পাল্টা আসরে নামলেন ক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটরাও।

গত বৃহস্পতিবার ডেমোক্র্যাটদের বিতর্কসভায় দেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বর্ণবিদ্বেষ প্রসঙ্গে একহাত নিয়েছিলেন হ্যারিস। আর রাতারাতি সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় ক্যালিফর্নিয়ার সেনেটরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, ভোটের বাজারে ফায়দা তুলতে নিজেকে আফ্রো-আমেরিকান প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন হ্যারিস। যা তিনি নন।

ডেমোক্র্যাট সূত্রে খবর, আলি অ্যালেকজ়ান্ডার নামে এক চরম ডানপন্থী নেটিজ়েন প্রথম খোঁচাটা দেন টুইটারে। হ্যারিসের মা ভারতীয়, আর বাবা জামাইকান। তাই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড়ে শামিল এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী ‘মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ’ নয় বলে তাকে ‘অযোগ্য’ তকমা দিয়ে সুর চড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরাসরি মুখ না-খুললেও, এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি জুনিয়র ট্রাম্প। আলির টুইট রিটুইট করে প্রেসিডেন্ট-পুত্র লেখেন— ‘আচ্ছা, তাই নাকি।’ যেন তিনি জানতেনই না হ্যারিসের বংশপরিচয়! পরে চাপের মুখে অবশ্য সেই টুইট মুছে ফেলেন তিনি।

উত্তেজনার পারদ তবু চড়ছেই। বিষয়টি নিয়ে প্রথম হ্যারিসের পাশে দাঁড়ান ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর এলিজ়াবেথ ওয়ারেন। তার কথায়, ‘‘হ্যারিসের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ জঘন্য ও বর্ণবিদ্বেষমূলক।’’ তিনি এর প্রতিবাদের ডাক দিতেই পর-পর মুখ খুলতে শুরু করেন সেনেটর করি বুকার, অ্যামি ক্লবুচারের মতো এক ঝাঁক ডেমোক্র্যাট নেতা-নেত্রী। বাইডেনও বলেন, ‘‘আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই।’’

বাইডেন বললেও, আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের বাড়াবাড়ি দীর্ঘদিনের। ভোটের ময়দানেই হ্যারিসকে এই নোংরা আক্রমণের জবাব দেয়া উচিত বলে মনে করছেন নেত্রীর প্রচার ম্যানেজার লিলি অ্যাডামস। তার কথায়, ‘‘এমন আক্রমণ তো বারাক ওবামাকে রুখতেও হয়েছিল। এ বারও এমন কৌশল বিফলে যাবে।’’
অনেকে বলছেন, বর্ণবিদ্বেষের এই ট্রোলিংয়ে আদতে লাভই হলো হ্যারিসের। দলের সাম্প্রতিক বিতর্কসভার পরে এখন পর্যন্ত তার প্রচার তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ২০ লক্ষ ডলার। যে ৬৩ হাজার অনুগামী তাকে অর্থসাহায্য করেছেন, তার ৬০ শতাংশই প্রথম কোনো প্রার্থীকে রাজনৈতিক অনুদান দিলেন বলে জানা গেছে। টুইটারে #ফরদ্যপিপল প্রচারে এ জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন হ্যারিস।


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সকল