তালেবানের সাথে বৈঠকের কথা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র
- এএফপি
- ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৬, আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪১
তালেবানের সাথে কাতারে মার্কিন দূতের বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান যুদ্ধের অবসানে মধ্যস্থতা করার চেষ্টায় মঙ্গলবার তারা এ বৈঠক করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, আফগান সমস্যার সমাধান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খালিলজাদ মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি খালিলজাদ এবং আন্তঃসংস্থার একটি দল তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে আজ দোহায় আলোচনা করে।’ তিনি আরো জানান, দু’দিনের বেশি সময় ধরে এ আলোচনা হচ্ছে।
খলিলজাদ তালেবানের সাথে বিভিন্ন সময়ে বসলেও এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরিভাবে তার বৈঠকের খবর নিশ্চিত করল।
তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ সোমবার এক বিবৃতিতে খলিলজাদের সাথে বৈঠকের ঘোষণা দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান দখলের অবসান ঘটানোর এজেন্ডা নিয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানে আগ্রাসনের অবসান ঘটানো এবং ভবিষ্যতে আফগানিস্তানকে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার শর্ত যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের শেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছর ডিসেম্বরে আবুধাবিতে। পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় পর্যবেক্ষক ছিল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যোগাযোগ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে দুই পক্ষ একমত হয়েছিল। তবে আলোচনায় আফগান সরকারের অংশ নেয়ার ব্যাপারে তালেবানের অনমনীয়তার কারণে পরবর্তী দফা আলোচনার আয়োজন কঠিন হয়ে পড়ে। তা ছাড়া তালেবান জোর দিচ্ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তালেবান বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে, তালেবানের এ দাবির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ হাজার সৈন্যের অর্ধেক তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ যাবৎকালের মধ্যে আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসানের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। টুইন টাওয়ারে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধ শুরু করে।