২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করছেন ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প - ফাইল ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে অভিবাসনের ক্ষেত্রে আরো কড়া অবস্থান নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিজের সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে এমন তড়িঘড়ি পদক্ষেপ ব্যালট বাক্সে প্রতিফলন ফেলবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযানে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন ও অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে হাতিয়ার করে নিজের ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে পেরেছিলেন। তিনি দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে মেক্সিকোরই অর্থে প্রাচীর তৈরি করে বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংসদের উভয়কক্ষে রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও আজও সেই প্রাচীর তৈরি হয়নি। মেক্সিকোও তার অর্থায়ন করতে এগিয়ে আসেনি।

এবার ‘মিড টার্ম' নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের সব আসন ও উচ্চ কক্ষ সেনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনের জন্য লড়াই চলছে। আগামী ৬ই নভেম্বর ভোটাররা কোনো একটি কক্ষেও বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরিয়ে আনলে প্রেসিডেন্টের পক্ষে বাকি দুই বছর নিজের অনেক সিদ্ধান্তের অনুমোদন করানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠবে।

তাই রিপাবলিকান সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে শেষ মুহূর্তে কিছু কড়া পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের কারণে সংসদের অধিবেশন না থাকায় নির্বাহী আদেশ জারি করে সেই সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে সেই সব সিদ্ধান্তের ভিত্তি ভুলত্রুটিতে ভরা বলে বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করছে।

মেক্সিকো সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দীর্ঘ সময়ের জন্য আটক রাখতে চান ট্রাম্প। তবে আগের নীতির পরিবর্তন করে পরিবারের সদস্যদের একসাথে আটক রাখা হবে। কোনোভাবেই যাতে তারা আমেরিকায় প্রবেশের আইনি অধিকার না পায়, তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই মর্মে নির্বাহী আদেশও জারি করতে যাচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে মেক্সিকোর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার শরণার্থীদের যে ‘ক্যারাভান' মার্কিন সীমান্তে পৌঁছাচ্ছে, সেই উদ্যোগকে অ্যামেরিকার উপর আক্রমণ হিসেবে তুলে ধরছেন ট্রাম্প। এই সব শরণার্থীর মধ্যে অপরাধী, হত্যাকারী, মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে তিনি দাবি করে আসছেন। এক হত্যাকারীকে নিয়ে তৈরি এক ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ডেমোক্র্যাটরা এমন দুষ্কৃতিকারীদের আমেরিকায় প্রবেশ করতে দিয়েছে।

তবে সংবাদমাধ্যম সেই ভিডিও দেখে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, ব্রাকামন্টেস নামের ওই হত্যাকারী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিইউ বুশের আমলে শেষবার আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শরণার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার পথে বাধাও দেখা যাচ্ছে অনেক। নেক্সাস সার্ভিসেস নামের এক কোম্পানি শরণার্থীদের পক্ষ থেকে আদালতে আপিল করেছে।

শরণার্থীদের আটক করে আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করার পদক্ষেপকে তারা অসাংবিধানিক হিসেবে চ্যালেঞ্জ করেছে। প্রেসিডেন্ট নিজে রাজনৈতিক স্বার্থে ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে।

নির্বাচনের ঠিক আগে আমেরিকার উপর আক্রমণের দোহাই দিয়ে মেক্সিকো সীমান্তে ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্তও সমালোচনার মুখে পড়ছে। আইন অনুযায়ী সৈন্যরা সরাসরি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।

ফলে বেআইনি শরণার্থীদের রুখতে গুলি চালানোর হুমকিও কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই।

 

পাথরের জবাবে বুলেটের হুমকি ট্রাম্পের

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমকালে সেখানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যদের প্রতি যারা পাথর ছুঁড়বে তাদের প্রতি গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের দিকে আসা মধ্য আমেরিকার কয়েক হাজার অভিবাসীর একটি দল মেক্সিকো পুলিশের প্রতি ‘ভয়ঙ্কর ও হিংসাত্মক’ পাথর নিক্ষেপ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের আচরণ আমরা সহ্য করবো না। এভাবে আমাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হলে এর পাল্টা জবাব দেয়া হবে।’

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমি সৈন্যদের একটি পাথরকে একটি রাইফেল হিসেবে গণ্য করতে বলেছি।’

ট্রাম্পের ভাষায় অনিয়ন্ত্রিত অবৈধ অভিবাসনের প্রবেশ বন্ধে তাঁর বিতর্কিত নীতিমালা তুলে ধরার সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে পেন্টাগন মুখপাত্র লে. কর্নেল জেমি ডেভিস বলেন, সামরিক বাহিনী শক্তি প্রয়োগের কল্পিত বিষয়ে কথা বলে না। তিনি বলেন,‘তবে আমাদের বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পেশাদার। তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল