২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি : এরদোগান

প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি : এরদোগান - সংগৃহীত

একে পার্টির নেতা রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান তুরস্কের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে নিজ বাসভবনে তিনি বলেছেন, 'নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে এটা স্পষ্ট যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।'

তুর্কি সরকারের মুখপাত্র বেকির বোজদাগও এক টুইটার বার্তায় এরদোগানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৯৪ শতাংশ গণনা শেষে তিনি ওই টুইট করেন।

তুরস্কের এবারের নির্বাচনে ৮৭.৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তুরস্কের দৈনিক সাবাহ জানিয়েছে,  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৬.৫ শতাংশ ভোট গণনায় এরদোগান পেয়েছেন ৫২.৭ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সিএইচপি প্রার্থী মোহারেম ইন্স পেয়েছেন ৩০.৭ শতাংশ ভোট।

এছাড়া, এইচডিপির সালাদিন ডেমিরেটাস পেয়েছেন ৮.১ শতাংশ, গুড পার্টির মেরেল আকসেনার পেয়েছেন ৭.৪ শতাংশ এবং সাদাত পার্টির টেমেল কারামোলাগ্লু পেয়েছেন ০.৯ শতাংশ ভোট।

এদিকে, সংসদ নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনায় শাসক পিপলস জোটের একে পার্টি পেয়েছে ৪২.৫ শতাংশ (আসন ২৯৫), এমএইচপি পেয়েছে ১১.২ (আসন ৪৯) শতাংশ। পিপলস জোটের পেয়েছে ৫৩.৭ ভাগ (৩৪২ আসন)।

অন্যদিকে, বিরোধী নেশন জোটের সিএইচপি পেয়েছে ২২.৫ শতাংশ (আসন ১৪৬), গুড পার্টি পেয়েছে ১০ শতাংশ (আসন ৪৪) এবং সাদাত পার্টি পেয়েছে ১.৪ শতাংশ ভোট। নেশন এলায়েন্স জোটের প্রার্থীরা মোট ভোট পেয়েছে ৩৩.৯ শতাংশ (আসন ১৯০)। জোট বহির্ভুত কুর্দি দল এইচডিপি পেয়েছে ১১.২ শতাংশ ভোট (আসন ৬৬)।

তুর্কি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য মোট আসন ৬০০ আসনের মধ্যে ৩০১ আসন দরকার হয়। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে সরকারি জোট।

তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিড্টে নির্বাচনে প্রার্থীদের কেউ ন্যূনতম পঞ্চাশ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় দফায়। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফা নির্বাচনের পনের দিন পর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। যদিও ইতোমধ্যেই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে গেছেন এরদোগান। তাই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন হবে না।

এরদোগান ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন। তিনি টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হন। ২০১৬ সালের এক ব্যর্থ গণঅভ্যুত্থানের পর ২০১৭ সালে এক গণভোটে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেন এরদোগান। এতে তিনি দেশটিকে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্টশাসিত ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার জনরায় পান।এরদোগান এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত হবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সরকারি কর্মকর্তা,ভাইস প্রেসিডেন্ট,মন্ত্রীদের নিয়োগ দেবেন এবং যেকোনো সময় সংসদ ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ

সকল