২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাজার টাকা গুণতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দিল কনে

- ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের ধরন হয়তো এখন অনেক পাল্টেছে। তবে বিয়ের আসরে বর-কনেকে আগেও পরীক্ষার মুখে পড়তে হতো, এখন ধরন পাল্টালেও পরীক্ষা একেবারে বাদ হয়ে যায়নি। এবার তাতেই ধরা খেয়ে গেলেন ভারতের বিহারের বিবাহইচ্ছুক এক যুবক।

গত বুধবার ভারতের বিহারের মধুবনী জেলার পন্ডোল গ্রামে বসেছিল একটি বিয়ের আসর। সেখানে ব্রহ্মতোড়া গ্রামের এক যুবকের সাথে বিয়ে হচ্ছিল মোমিনপুর গ্রামের এক যুবতীর।

কিন্তু বর বেচারা গণ্ডমূর্খ। ন্যূনতম পড়াশোনাও নেই। এমনকি গুণতে জানেন না টাকা পয়সাও। আরেকটু হলেই পার পেয়ে যাচ্ছিলেন। কারণ মালাবদলও ততক্ষণে হয়ে গেছে। হয়ে গেছে ধর্মীয় আচার পালনও। এ পর্যায়ে বরের সাথে গল্পে মেতে ওঠেন কনের বান্ধবীরা। তখনই পাত্রের শিক্ষাদীক্ষা নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ হতে থাকে। তারা বরকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করলেও কোনোটিরই সঠিক জবাব দিতে পারেননি ওই পাত্র।

এর পরেই কনের বান্ধবীরা পাত্রকে একশো টাকার দশটি নোট দিয়ে গুণতে বলেন। কিন্তু তিন বার চেষ্টা করলেও তা সঠিকভাবে গুণতে ব্যর্থ হন ওই পাত্র। এমনকি নিজে কোন জেলার বাসিন্দা, তা-ও ঠিকমতো পারেননি ওই পাত্র। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাত্রী নিজে ওই বিয়ে ভেঙে দেন। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান গ্রামবাসীও।

এ অবস্থায় অবশ্য ঘটনা শেষ হয়ে যায়নি। কনের ওই মানসিকতা দেখে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক ব্যক্তি তার শিক্ষিত ছেলের সাথে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন কনেকে। সে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান পাত্রী। পরে ওই পাত্রের সাথেই বিয়ে হয় ওই যুবতীর।

 

আরো পড়ুন : উটের অবাক শোক পালন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৪ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৯

মানুষই কেবল প্রিয়জনের বিরহে শোক পালন করে। এমনটিই দাবি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দাবি মানুষের। কিন্তু প্রিয়জনের শোক যে অন্য প্রাণীদেরও কাঁদায়, তারাও যে মুষড়ে পড়ে তারই এক নজির স্থাপন করেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি উট।

রোজ যিনি হাতে করে খাওয়াতেন, পিঠে চেপে ঘুরতেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে খাওয়া-দাওয়াই ছেড়ে দিয়েছে উটটি।

গুজরাটের কচ্ছের জাখাউ থানার অধীনে থাকা একটি উটটি লালন পালন করতেন একজন পুলিশ সদস্য। গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শিবরাজ গাধভি নামে ওই পুলিশ সদস্যের। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গাধভি থানার একটি উটে করে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল দিতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাই-অ্যালার্ট জারি হওয়ায় আরো কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন ওই পুলিশকর্মী।

২৪ জানুয়ারি সকালে নিয়ম মতোই থানার উটটিকে নিয়ে ডিউটিতে বের হন গাধভি। সীমান্তের কাছে পৌঁছে প্রথমে উটটিকে খাওয়ান তিনি। এর কিছু সময় পরই গাধভী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বুকে ব্যথা আরো তীব্র হওয়ায় মাঝপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই পুলিশ সদস্য।

কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়ায় পূর্ণ পুলিশি মর্যাদায় গাধভীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সবার পাশাপাশি গাধভির অনুপস্থিতিতে মনমরা হয়ে তার সঙ্গী উটটিও। গাধভির মৃত্যুর পর থেকেই খাবার-পানি, কোনোটিই মুখে তুলেনি সে। দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছে উটটি।


আরো সংবাদ



premium cement