০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বড় ধরনের শাস্তির মুখে পুলিশ দল

-

খেলার সময় প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় বা রেফারির ওপর হামলা নয়। কিংবা মারধর করা হয়নি মাঠে আসা দর্শকদের। হামলা সরাসরি বাফুফের নির্বাহীদের ওপর। বাদ যায়নি স্টাফ এবং গার্ডরাও। গত পরশু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) শেষ ম্যাচে পুরস্কার বিতরণের সময় বাফুফের নির্বাহীদের ওপর হামলা। সেটি আবার দফায় দফায়। তা বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে। এই হামলা করেছে বিসিএল চ্যাম্পিয়ন পুলিশ দলের খেলোয়াড়সহ অন্যরা। এই ঘটনা ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছে বাফুফের দায়িত্বশীলদের। একটি বাহিনীর সদস্যরা এভাবে দেশের ফুটবলের সর্বময় সংস্থার লোকদের ওপর হামলা করে তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বাফুফে। এর সূত্র ধরে বড় ধরনের শাস্তি পেতে যাচ্ছে পুলিশ ফুটবল দলের সংশ্লিষ্টরা। ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মনোভাবে সেটিই স্পষ্ট হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। গতকাল এই বিষয়ে থানায় জিডিও করেছেন বাফুফের কম্পিটিশনস ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী। তার ওপরই প্রথম হামলা হয়।
এই প্রথম হামলাকারীর নামও জানা গেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে। তিনি পুলিশ দলের সাবেক গোলরক্ষক শামীম। ম্যাচ চলাকালীন তিনি মাঠে প্রবেশ করতে চান। তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড না থাকায় জাবের তাকে ঢুকতে দেননি। এই ক্ষোভেই তিনি পুরস্কার বিতরণের পর চড়াও হন জাবেরের ওপর। পরে এতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ দলের ফুটবলাররা। ভিডিও ফুটেজে বাফুফে এই মারামারি করা ফুটবলারদের শনাক্ত করেছে। এ দিকে পুলিশ সদস্যদের হামলায় মারাত্মক আহত গার্ড মিজানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিটি স্ক্যান করা হয়েছে তার। এ ছাড়া গার্ড আবদুর রহিম, লিগ কমিটির পিওন তপু, বাফুফের জুনিয়র নির্বাহী রিয়াদ, স্টাফ ফয়সাল, ইউসুফ, সোহেল, স্টেডিয়ামের গেটে থাকা দায়িত্বরত বাবুল অহত হন এতে।


আরো সংবাদ



premium cement