১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


খেলাধুলায় সুস্থ শিশু

-


শিশুরা স্বভাবতই বাইরে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী থাকে এবং বাইরে খেলাধুলা তাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দিনে খোলামেলা পরিবেশে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের সংস্পর্শে আসে রাতে তাদের তুলনামূলক ভালো ঘুম হয়। এ ছাড়াও শিশুর শারীরিক, মানসিক, চারিত্রিক এবং সামাজিক গুণাবলি বিকাশ পায়।
বাইরে খেলাধুলা শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক। কারণ বাইরে খেলাধুলা করার সময় তাদের অনেক কিছু দেখার, শেখার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকে। এতে বুদ্ধি বিকাশের পাশাপাশি তাদের মোটর স্কিলও উন্নত হয়। বাগানে কিংবা আশপাশের কোনো পার্কে খেলাধুলা কিংবা সকালে অথবা বিকালে তাদের হাঁটার অভ্যাস করলে তা তাদের শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ রাখে। একইভাবে বাইরে হাঁটাচলা কিংবা খেলাধুলা শিশুদের ক্যালোরি বার্ন করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে সাহায্য করে। শিশুকে বাইরে খেলতে দেয়া তাকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে পরিচিত করে তোলে।
শিশুদের সাথে বাইরে হাঁটতে যাওয়ায় অভিভাবকেরও সুযোগ হয় রোজকার জীবন থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে হালকা এক্সারসাইজ করা কিংবা বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করার এবং গল্প করার। একই সাথে শিশুরাও সুযোগ পায় তাদের বয়সী ছেলে-মেয়েদের সাথে মেশার যা তাদের সামাজিক করে তোলে এবং নতুন বন্ধু পেতে সাহায্য করে। এতে তারা একসাথে খেলাধুলা ও মিলেমিশে কাজ করাÑ এসব সামাজিক গুণ শেখে।
সকালে শিশুরা বাইরে খেলাধুলা কিংবা হাঁটার সুযোগ পেলে তাতে তারা রোদের সংস্পর্শে আসে। এতে করে তাদের দেহের ভিটামিন-ডি’র চাহিদা পূরণ হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এটি দেহে হাড় গঠন করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বাইরে খেলাধুলা করলে শিশুরা দায়িত্ব নেয়াও শেখে। যদিও মা-বাবা সমসময় চান যেন শিশুকে কোনো দায়িত্ব বা ঝুঁকি নিতে না হয়, তারা যেন সবসময় নিরাপদ থাকে। এরকম চিন্তাভাবনার ফলে জানতেই পারে না যে, তারা কী কী করতে সক্ষম। ফলে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। জীবনে চলতে গেলে দায়িত্ব ও ঝুঁকি নেয়া শেখা খুবই জরুরি। এতে করে তারা সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়। তাই বাইরে খেলার সুযোগ পেলে তারা হয়তো ছোটাছুটির ফলে হালকা ব্যথা পেতে পারে, কিন্তু এতে করে তারা শারীরিকভাবে সবল হবে এবং তাদের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
ঘরে বন্দী হয়ে শৈশব কাটানো শিশুদের অনেকেরই সৃজনশীলতা খুব কম হয়ে থাকে। কারণ তারা অন্য শিশুদের সাথে মন খুলে মেশার ও খেলাধুলা করার সুযোগ পায় না।
অন্য দিকে, বাইরে খেলাধুলা করলে শিশুরা অন্য শিশুদের সাথে মেশার ফলে তাদের পারিপার্শ্বিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও বাইরে খেলাধুলা করলে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বাড়ে।
বাইরে খেলার সুযোগ না পেলে শিশুরা তাদের অবসর সময়ের বেশির ভাগ কাটায় মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে গেম খেলে বা ভিডিও দেখে। ফলে চোখেরও ক্ষতি হয়। অনেক শিশু স্থূলতায় ভোগে। বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ পেলে শিশুদের চোখের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে, মোবাইল ফোনে আসক্ত হয় না এবং শারীরিকভাবেও অনেক বেশি শক্তিশালী ও সুস্থ হয়ে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement
এক বছর পর দাউদকান্দিতে ড. মোশাররফ গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ কুয়াকাটা সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমুদ্রস্নান সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আ’লীগ জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে : জোনায়েদ সাকি ইবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন মালয়েশিয়ায় বিএমইটি কার্ডের নামে প্রতারণার ফাঁদ : সতর্ক করল দূতাবাস ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল আল মাহমুদপুত্র মীর তারিকের ইন্তেকাল

সকল