২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেতাকর্মীদের দুঃসহ অবস্থা বলতে গিয়ে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। - ছবি: সংগৃহীত

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মীবান্ধব একজন নেতা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও তিনি তার অমায়িক ব্যবহারের জন্য প্রশংসিত। নির্বাচনে দলীয় চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন করতে গিয়ে বেশ কঠিন অবস্থা সামলেছেন দক্ষ হাতে।

এবার নিজ আসনে ভোটের প্রচারণায় নেমে অশ্র“নয়নে ধানের শীষে ভোট চাইলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

বুধবার বিকালে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি।

বিএনপির ‘ঘোর দুঃসময়ে’ দলের হাল ধরে থাকা এই নেতাকে এর আগেও বিভিন্ন সময় আবেগতাড়িত হতে দেখা গেছে।

কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্রে সই করে সেই চিঠি দলীয় প্রধানের প্রতিনিধির হাতে সম্প্রতি ফখরুল তুলে দিয়েছিলেন অশ্র“ভেজা চোখে।

দুই বছর আগে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় দলের নেতাকর্মীদের দুরবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব।

গত বছর নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দলীয় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়েও কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী ফখরুল বুধবারের জনসভায় বলেন, “যাদের ছেলে-স্বামী গুম হয়ে গেছে; যাদের মা এখনও অপেক্ষা করে আছে তার ছেলে কখন ঘরে ফিরবে, স্ত্রী অপেক্ষা করে আছে স্বামী কখন ফিরবে; ছোট্ট শিশু সন্তান অপেক্ষা করে কখন তার বাবা ঘরে ফিরবে; কিন্তু ফেরে নাই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে শ্মশান ও আর্তনাদের দেশে পরিণত করেছে। শুধু কষ্ট, কষ্ট আর যন্ত্রণা। আমাদের একজন নেতাও নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই; জেলে গেছে। কারণ আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। এই কষ্টের শেষ হতে হবে না? এই কষ্ট লাঘব করতে হবে না?”

৩০ ডিসেম্বর ভোটের মধ্যে দিয়ে সেই ‘পরিবর্তন’ আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “তাহলে এই কষ্টের শেষ হবে, নির্যাতনের শেষ হবে। আমার ভাইয়েরা ফিরে আসবে; আমাদের গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া ফিরে আসবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে অন্যদের কোনো চাকরি হয় নাই; ডিএনএ টেস্ট করে আওয়ামী লীগ না থাকে তাহলে চাকরি হয় না। তারপরও টাকা দিতে হয়। কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়। এই যে দুর্নীতি, এই যে মানুষকে ঠকানো, এসব আমরা করি নাই।

ঠাকুরগাঁও সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লালের সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা

সকল