২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর

অবশেষে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেলেন শিবগঞ্জের জন্মান্ধ পরিবারের ১২ জন

-

বগুড়ার শিবগঞ্জে ময়দানহাটা ইউনিয়নে সোবহানপুর পোড়াবাড়ি গ্রামের ১৪ জন্মান্ধ একই পরিবারে ১২ জন পেলেন প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড।

তাদের অসহায় জীবন জীবিকা নিয়ে গত ১০ আগস্ট দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সমাজসেবা অধিদফতর অনেকটা নড়েচড়ে বসে। অধিদফতরের মহা-পরিচালকের তাৎক্ষণিক নির্দেশক্রমে ও বগুড়া জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঈদের ঠিক আগের দিন শনিবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের বিশেষ বরাদ্দের প্রতিবন্ধী সুবিধা ভাতার কার্ড নিয়ে হাজির হন সমাজসেবা অফিসার মো: সামিউল ইসলাম।

তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপমকে সাথে নিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারের নয়জনের হাতে তুলে দেন প্রতিবন্ধী কার্ড। দেয়া হয়, সেমাই, চাল-চিনি, মুড়ি, সয়াবিন তেল, সাবান, ডিম, লবন, মসলা, নারিকেল ও নতুন জামা-কাপড়সহ ঈদসামগ্রী। এসময় অন্যদের মধ্যে ফিল্ড সুপারভাইজার শেখ মিলন, অফিস সহকারী মোজাম্মেল হোসেন, ইউনিয়ন কর্মী তৈহিদুল ইসলাম ও মোসা: ছাবিহা আকতার উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, অন্ধ বাবা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় বড় হয়েছে শহিদুল, বুলু, টুলু, জহিলা, শহিদা, মোমেনা নামে তারা ছয় ভাই বোন ও তাদের প্রতিবন্ধী সন্তান রুমি, মীম, জীম বাবু, মানিক, বুলবুলি ও রাজিয়াসহ ১৪ জন জন্মান্ধ।

একই অন্নে মানুষের করুণায় অন্ধ ওই পরিবারে চলে জীবন। পরিবারের মেজো সন্তান বুলু মিয়ার দুই মেয়ের মধ্য বুলবুলি নামের এক মেয়ে জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। বিয়ের পর বড় বোন জহিলার, মেঝো বোন শহিদার ঘরে শরীফ ও শ্যামলী ও ছোট বোন মমেনার ঘরে জন্ম নেয় দুই ফুট ফুটে সন্তান। কিন্তু জন্মান্ধ হওয়ায় এদের কেউই দুনিয়ার আলো দেখতে পায়নি। গরীব ও অন্ধ সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে তাদের তিন বোনের কপালে বেশি দিন জোটেনি স্বামীর সংসার। জন্মান্ধ ছোট ছোট বাচ্চাদের ফেলে রেখে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় পাষন্ড স্বামী। অবশেষে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে অন্ধ ভাইদের সাথে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালছে তাদের।

পরিবারের বড় ছেলে জন্মান্ধ শহিদুল ইসলাম জানান,আমাদের কেউ কাজে নেয় না। দেখতে পাই না বলে কোন কিছু করতেও পারি না। তাই মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়াই।

বুলু মিয়া জানান, বাবার রেখে যাওয়া এই ছোট কুড়ে ঘরে অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তাদের পরিবারের এমন নিদারুণ কাহিনী পত্রিকায় খবরে উঠে আসে।

এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মো: কাওছার রহমান জানান, ডিজি স্যারের নির্দেশক্রমে জন্মান্ধ ওই পরিবারে নয়জনের নামে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আগে থেকে আরো তিনজন ভাতা পেয়ে আসছেন। সব মিলে ওই পরিবারে ১২ জন ভাতা সুবিধার আওতায় এলো।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: সামিউল ইসলাম ওই পরিবারে মোট ১২ জন প্রতিবন্ধী কার্ড পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই শিশুর বয়স অপ্রাপ্ততায় পরবর্তীতে ভাতা সুবিধার আওতায় আনা হবে তাদের।

ময়দানহাটা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপম জানান, তার পরিষদ থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বাত্রক সাহায্য দেয়া হচ্ছে তাদের।

এদিকে, জন্মান্ধ ওই পরিবারের ১২ প্রতিবন্ধীকে সরকারি ভাতা সুবিধা প্রদান করায় অধিদফতরের মহা-পরিচালক ও বগুড়া জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুধিজন।


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল