বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে একটি মুখপোড়া হুনুমান। খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাটে বাজারে ঘুরছে সেটি। কখনো বা হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে হুনুমানটিকে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি, ফুলবাড়ী, চেলোপাড়া, প্রেসপট্টি, সূত্রাপুর রিয়াজকাজি লেন ও মালতিনগর এলাকায় দেখা যাচ্ছে। গাছ থেকে গাছে, ভবন থেকে ভবনের ছাদে, দেয়ালের উপরে হনুমানটি বসছে। যেখানেই যাক সেটিকে দেখতে ভিড় লাগছে উৎসাহি লোকজনের। অনেকে আবার বিরক্তও করছে সেটিকে।
খাবারের খোঁজে দলছুট হয়ে লোকালয়ে ছুটে এসেছে একটি হনুমান। কয়েকদিন ধরেই বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় হনুমানটি ঘোরাফেরা করছে। বিষয়টি জেনেও উদ্ধার করার ব্যাপারে তেমন কোনো আগ্রহ নেই সংশ্লিষ্টদের। উৎসুক জনতার কেউ কেউ হনুমানটিকে আপেল, কলা, পাউরুটিসহ বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে দিচ্ছে।
জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর বগুড়া শহরের ফুলবাড়ীতে অবস্থিত সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া সুবিল খালের গাছপালায় প্রথম হনুমানটির দেখা মেলে। ৫ ডিসেম্বর রাতে হনুমানটি শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় চলে আসে। এরপর ৬ ডিসেম্বর একইভাবে রাতের বেলায় স্থান পরিবর্তন করে প্রেসপট্টি এলাকায় চলে আসে। হনুমানটি এখনো কোনো মানুষের ক্ষতি করেনি; কিন্তু মানুষের ভীড় দেখে হনুমানটি সবসময় ভয়ে থাকে।
রাজশাহী বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা দরকার। তবে এই মুহূর্তে হনুমানটি উদ্ধার করার কোন সুযোগ নেই। প্রকৃতিতে ওরা বিচরণ করে। হনুমানকে বিরক্ত না করলে সে কারো ক্ষতি করবে না।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন টীম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভার্নমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সভাপতি আরাফাত রহমান বলেন, হুনুমানটি দেখেছি। আমরা হুনুমানটি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি; কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায় নি।
এর আগে শেরপুর উপজেলায় একইরকম একটি হুনুমান দেখা গিয়েছিল। সেটি যশোরের বেনাপোল থেকে ট্রাকের ছাদে চড়ে এসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে একইভাবে এই হনুমানওটিও এসেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা