২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংসদে ‘দ্বিতীয় মত’ কোথায়?

দেখা অদেখা
-

সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পার্লামেন্ট হবে জাতীয় রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু। আর এটা তখনই সম্ভব, যখন সংসদ গঠিত হবে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের বাছাই করার একমাত্র উপায় হচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদের গঠন প্রক্রিয়ায় এসব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল অনুপস্থিত। ত্রুটিপূর্ণ এমন সংসদ আসলে কার্যকর হবে কিভাবে? তাই এটি অতীতের মতো স্থবির ও অকার্যকর একটি প্রতিষ্ঠান হয়েই থাকবে। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্র চলে সরকারি ও বিরোধী দলের সম্মিলিত ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়েই। অথচ এই সংসদ গঠিত হয়েছে কেবল একটি জোটের সদস্যদের নিয়ে। তাই যৌথ ভূমিকা পালনের অবকাশ কোথায়? এখন এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই তোলা যায়, এই সরকারের মৌলিক চরিত্রটা কী, গণতান্ত্রিক না একজোটের সরকার? গণতান্ত্রিক সরকার হলে তাদের বিপরীতে সেখানে দ্বিতীয় বা বহু মতের অস্তিত্ব থাকতে হবে। এখানে একটি বিষয় স্মরণে আসতে পারে যে, সমাজতান্ত্রিক দেশে যেমন দ্বিতীয় বা ভিন্ন মত পোষণের কোনো অধিকার থাকে না, আমাদের দেশেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল স্বাধীনতার কিছুকাল পর সব দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এবার নির্বাচনে যে কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে একটি বিশেষ জোটের বাইরে আর কারো নির্বাচিত হয়ে আসা সম্ভব ছিল না। তাই এই সংসদে সরকারি বক্তব্য ভিন্ন আর কিছু শোনার কোনো সুযোগ থাকল না। গণতন্ত্রে মৌলিক নীতিই হচ্ছে, বহু মত ও পথের সমন্বয়। এই সমন্বয়ের ঘাটতি থাকার পর দেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে কোন নামে অভিহিত করা হবে? নিঃসন্দেহে এটা একটা মৌলিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব নবগঠিত সরকারকেই দিতে হবে? এই প্রশ্নের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সরকারের পরিচিতি নিয়েও কথা থেকে যাবে।
সরকারের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি, যে নির্বাচনের মাধ্যমে এবার সরকার গঠিত হয়েছে, সেটা এবং তার ফলাফলের ধরন নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। এই নির্বাচনের ভবিষ্যৎ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আগামী দিনের চরিত্র এবং দেশের ভবিষ্যৎ চলার পথ ও এর গতিধারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিভাবে চিহ্নিত হবে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি নিয়ে দেশের ভেতর এখনো তেমন আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু না হলেও বহির্বিশ্বে এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা এবং ব্যাখ্যা-বিবৃতি চলছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেছে। পশ্চিমের প্রভাবশালী বিভিন্ন মিডিয়ার মতামত বিভিন্ন দেশে সরকারের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সম্পর্কে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের ধারণা তৈরির ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকার কারণে এসব মতামতের ব্যাপারে আমাদের নীতিনির্ধারকদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে এসব মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সাথে সাথে ভুল-ভ্রান্তির সমালোচনা করা হয়েছে। এসব সমালোচনার মধ্যে এটাও উঠে এসেছে যে, ক্ষমতাসীনদের আচার-আচরণে কর্তৃত্ববাদী চরিত্রের প্রবণতার প্রাধান্য পেয়েছে। যারা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তারাও দলটির বিজয়ী হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এটা সবারই স্মরণ রাখা উচিত, পৃথিবী এখন একটি ‘গ্লোবাল ভিলেজ’। এর কোথাও ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেন, মুহূর্তেই সেটা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কথা হচ্ছে। কোনো বিষয় আলোচনায় থাকাটা তখনই কাক্সিক্ষত হতে পারে, যখন এর ফলাফল দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। এখন যে আলোচনা চলছে, সেটা বস্তুত আলোচনা নয়Ñ সমালোচনা, যা আমাদের গণতান্ত্রিক সঙ্কট নিয়ে। নির্বাচনের স্বরূপ নিয়ে আলোচনায় গভীর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন আলোচনা দেশের ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœœ করে থাকে। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও দুর্নীতির বিস্তৃতি নিয়ে এ দেশ বিশ্বে লজ্জা পেয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় এসব অস্বস্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এর যারা প্রতিকার করবেন, সেই কর্তৃপক্ষ এসব নিয়ে মোটেই মাথা ঘামান না। বরং তারা দেশে ‘প্রভূত’ উন্নতির কথা বলে পেরেশান হচ্ছেন। তারা উন্নতির যে ধারণা পোষণ করেন, সেটা আসলে উন্নয়ন নয়। দেশের অর্থনীতির যে হাল, তা মোটেই সুখকর নয়। এখন যাদের ঘরে অর্থ-বিত্ত জমা রয়েছে, তারা আরো ফুলে-ফেঁপে উঠছে। আর যারা বিত্তহীন, তাদের অবস্থা দিন দিন আরো শোচনীয় হচ্ছে। স্বল্পসংখ্যক মানুষের বিত্ত বৃদ্ধি পাওয়াকে উন্নয়ন বলা যাবে না। আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত না হলে উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বীকৃতি মিলবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারছে না। বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে। আমাদের সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে। সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত রয়েছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতি মানের দৃঢ় উন্নতি সাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নি¤œলিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায় : (ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; (খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার; (গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্বাস, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার এবং (ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার।’
আধুনিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে যে ধারণা রয়েছে বস্তুত সেটাই আমাদের সংবিধান ধারণ করেছে। তাই সব বিবেচনায় বাংলাদেশের সংবিধান একটি অনন্য দলিল। এই দলিল শুধু অনন্য নয়, দেশের নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের পবিত্র গ্রন্থ। সংবিধানে এসব নীতি-নির্দেশ সন্নিবেশিত হওয়ার অর্থ হলো, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের জন্য তা অবশ্য পালনীয়। এর কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে তা সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধের শামিল। আসলে এই বিষয়গুলোর সরল ব্যাখ্যা করলে এটাই দাঁড়ায় যে, আমাদের সংবিধানে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা দেয়া আছে। এমন একটা সমাজের শুভ সূচনা তো গত পঞ্চাশ বছরে হওয়া উচিত ছিল। যদি সেটা হতো তাহলে দেশের মানুষের আজ যে দুর্ভোগ, তা অনেকখানি কমে যেত। এখনো দেশে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। হাজার হাজার মানুষের মাথার ওপর ছাউনি নেই।
সংবিধানের এই রূপরেখা সত্ত্বেও স্বাধীনতার দীর্ঘসময় পরও এসব দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে এখনকার এবং যাবৎকালের কোনো সরকার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এটা ক্ষমতায় থাকা আমাদের পূর্বাপর নেতাদের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এ ক্ষেত্রে সরকার তথা নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি রাষ্ট্রে অপর অঙ্গ আইনসভাও তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারবে না। কেননা আইনসভার অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে, সরকারের ভুল-ত্রুটিগুলো সংসদে তুলে ধরে তার প্রতিবিধান করতে সরকারের জবাবদিহি করা। এটা আইনসভার অবশ্য কর্তব্য। এযাবৎ সরকারগুলো যেমন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে তেমনি আইনসভাও এ ব্যর্থতার দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না। আসলে গত ১০ বছর আইনসভা গঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটা ত্রুটি ছিল প্রশ্নযুক্ত নির্বাচন। এখন, একাদশ সংসদও এই ত্রুটিমুক্ত নয়। এবারো সংসদ সেই এক জোটের, এখানেও সরকারবিরোধী ভূমিকা পালনের কেউ নেই। সরকার এভাবে চললে দশম সংসদের মতো এই সংসদ নিয়েও কারো আগ্রহ থাকবে না। অথচ সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব এত বেশি যে, এমনকি তাদের ‘ছায়া মন্ত্রিসভা’ও থাকে। এ কারণেই সংসদীয় গণতন্ত্র ‘সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা’ হিসেবে স্বীকৃত। এ সংসদ নি®প্রাণ হওয়ার আরো কারণ হচ্ছেÑ এবারো কোনো অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান নেই। তাই তীক্ষè ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ও বিতর্ক অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও থাকছে না। আর সংসদ নিয়ে মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে, যদি সেখানে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলা হয়। কিন্তু অনভিজ্ঞ সংসদ সদস্যদের পক্ষে তার সূত্রপাত করা সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত যতগুলো সংসদ বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ। কারণ সে সংসদে ছিলেন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং প্রখর আইনি জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তিরা। যদিও সে সংসদ, সংসদীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে গঠিত ছিল না, তথাপি সে সংসদ জাতীয় রাজনীতির মূল কেন্দ্রের মতোই ভূমিকা রেখেছিল।
বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক নির্বাচনের পরÑ সেখানে নাগরিকদের ভোটদানের মতো মৌলিক অধিকার রক্ষিত হয়নি। তাই এই সংসদকে গতিময় করে তোলা সম্ভব নয়। সরকারি মহল থেকে যে গোটা কয়েক সদস্য পদ বিরোধী দলকে ‘দান’ করা হয়েছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে তাদের প্রতি। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়া তাদের করার কোনো বিকল্প পথ ছিল না। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু একাদশ সংসদের গঠন নিয়ে ঘোরতর আপত্তি উঠেছে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে। তাই যে নির্বাচন নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে সংসদে যাওয়া অনেকটা অর্থহীন। বরং এতে যে অনিয়ম হয়েছে, তাকে উপেক্ষা করা হবে সংসদে গেলে। জনগণকে ভোটবঞ্চিত করার যে প্রহসন হয়েছে, তাকে বৈধ হিসেবে ধরে নেয়া হবে।
নির্বাচন হয়ে গেছে; তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে দেখা যাবে। কিন্তু এর বাইরে গত ১০ বছর ধরে নাগরিকদের যেসব অধিকার ক্ষুণœ করা হয়েছে, তা তো স্বাভাবিকভাবেই বজায় থাকবে না। কেননা, যে নীতি ও কর্মপদ্ধতি অতীতে অনুসরণ করা হয়েছে, তার কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কেননা, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারাই পুনরায় নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে ফিরেছেন। পরিবর্তন তখনই আশা করা যায়, যখন নীতি এবং তা অনুসরণ করে কাজ করার অঙ্গীকার আসে শাসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি। একই সাথে এমন উদ্বেগও রয়েছে যে, বিগত দিনে হত্যা-গুমের ঘটনা যেমন ঘটেছে, তা অব্যাহত থাকবে কিনা। যারা এসব অঘটন থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে পারেননি, সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইদানীংকালের বাড়াবাড়ি নিয়ে সবাই উৎকণ্ঠিত। নির্বাচনের পর তাদের মনোভাব অনেকখানি চাঙ্গা। অতি উৎসাহের কারণে এ বাড়াবাড়ি আরো বাড়বে কিনা, কে জানে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নয়। বহু ক্ষেত্রেই তাদের কাছ থেকে সহায়তা পায় না অসহায় মানুষ। অথচ আইন বলবৎ করার ব্যাপারে তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখা কর্তব্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের পাশাপাশি বিচার বিভাগের দায়িত্ব রয়েছে মানুষকে জুলুম-নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। ন্যায়বিচার কার্যকর করতে বিচার বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আদালতে মামলার যে জট, তাতে সময় মতো ন্যায়বিচার পাওয়াটা কঠিন। সময় মতো বিচার না হলে তাকে ন্যায়বিচার বলা যাবে না। হ
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল