২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধূমপান রোধে গণ-আন্দোলন প্রয়োজন

-

চিরদিনই ধূমপান (বিড়ি-সিগারেট ইত্যাদি) নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। বাস্তবতা হলো, ধূমপান বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। যখন রাস্তা দিয়ে যাই, যে দিকে তাকাই দেখি, লোকেরা অবাধে সিগারেট খাচ্ছে। তরুণ-বুড়ো, দাড়ি ছাড়া-দাড়িওয়ালা, বিত্তশালী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে অনেকেই সিগারেট খাচ্ছে। তরকারিবিক্রেতা, রিকশাওয়ালা, হকারÑ সব শ্রেণীর লোক ধূমপানে ব্যস্ত।
ধূমপানের পেছনে অপচয়ের ফলে দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হচ্ছে। ফলে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তদুপরি, এতে সবার স্বাস্থ্যের তি হচ্ছে। নানা ধরনের মারাত্মক রোগ হচ্ছে। এসব কারণে এমনকি অনেকে নিঃস্ব যাচ্ছে।
এ অবস্থায় ধারণা করা যায়, এ ব্যাপারে যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমরা অভিমত দিয়েছেন। যেমনÑ আমরা ড. আবদুল্লাহ ইউসুফ আল কারজাবির মতামত পাচ্ছি। তিনি সিগারেট খাওয়া বা ধূমপানকে হারাম বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আগের যুগে সিগারেট ও ধূমপানের তি কত যে ব্যাপক, তা জানা ছিল না। তাই তারা এ ব্যাপারে হারাম ফতোয়া দেননি। কিন্তু এখন এর তি পুরোপুরি জানা হয়ে গেছে, তাই সিগারেট ধূমপানকে হারামই বলতে হবে।’
এরপর আমরা এ ব্যাপারে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা আলেমের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি জানান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, মরক্কো, তুরস্ক এবং বিভিন্ন আরব দেশের আলেমরা ধূমপানকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। যেসব খ্যাতিমান আলেম এটিকে হারাম ফতোয়া দিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেনÑ ১. দারুল ইফতা, কায়রো; ২. শায়খ আরেফি, সৌদি আরব; ৩. শায়খ হাসমান, মিসর; ৪. শায়খ আলী গুমা, সাবেক গ্রান্ড মুফতি, মিসর; ৫। শায়খ হাসান ইয়াকুব, মিসর; ৬. ওমর আবদুল কাফি, মিসর; ৭. ড. ইউসুফ আল কারজাবি, কাতার; ৮. গ্রান্ড মুফতি, ব্রুনাই।
মিসরে ধূমপান নিষিদ্ধ করে অনেক আগেই আইন করা হয়েছে। অন্যান্য আরব দেশেও ধূমপানের জন্য জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
তাদের দলিল হচ্ছে কুরআনের নিম্নে উল্লিখিত আয়াতগুলোর তাৎপর্যÑ ১. ‘তিনি পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন, অপবিত্র নাপাক জিনিস হারাম করেছেন।’ (সূরা আরাফ : ১৫৭)। ২. ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিও না।’ (সূরা বাকারা : ১৯৫)। ৩. ‘তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না।’ (সূরা নিসা : ২৯)। ৪. ‘তোমরা অপচয় করো না। অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ২৭)।
আল কুরআনের আরো অন্তত ১০-১২টি আয়াত এবং অনেক হাদিসের আলোকে শ্রেষ্ঠ আলেমরা এই ফতোয়া দিয়েছেন। এ ফতোয়া একই ধরনের অন্যান্য পণ্যের ব্যাপারেও প্রযোজ্য। এখন আমাদের দায়িত্ব জনগণকে এসব খ্যাতনামা আলেমের ফতোয়া জানিয়ে দেয়া। এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম, সব আলেম ও শিতি ব্যক্তিদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। দেশের সব এনজিও, রাজনৈতিক দল এবং সব ছাত্রসংগঠনের দায়িত্ব এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও শহরে আন্দোলন গড়ে তোলা। সরকারের উচিত আইন করে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন, বিক্রি ও আমদানি নিষিদ্ধ করা।হ
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার

 


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল