২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পায়ে শক্তি না থাকলেও মনের শক্তি অফুরান

বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হুইল চেয়ারে সম্পা

বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হুইল চেয়ারে সম্পা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পায়ে ভর করে এক কদমও হাঁটতে পারেন না কামরুন্নাহার স্বম্পা। ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারেন না। হুইল চেয়ারই একমাত্র অবলম্বন তার। এরপরেও অদম্য ইচ্ছাশক্তিতেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধের বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। কোলে তার একমাত্র শিশুপুত্র মাত্র ৭ মাস বয়সের আরিজ বিন আব্দুল্লাহ। সম্পার এক নিকট আত্মীয় হুইল চেয়ার ঠেলে স্মৃতিসৌধে নিয়ে এসেছেন তাকে।

সম্পা থাকেন সাভারের সিআরপি আবাসিক এলাকায়। এখানেই চাকুরী করেন তিনি। তারই মতো হাজারো প্রতিবন্ধী মানুষের সেবা করেন তিনি। স্বামীও চাকুরি করেন সিআরপিতে। নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে স্বম্পা জানান, তার মনের ইচ্ছা এই শিশু পুত্রকে নিয়ে প্রতি বছরই আসবেন স্মৃতিসৌধে। ছেলেকে জানাবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস। জানাবেন বীর সেনাদের বিরত্বগাথা সংগ্রামের ইতিহাস। দেশের সেবায় ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলবেন তার এই শিশুপুত্রকে।

সোমবার মহান বিজয় দিবসে সকাল থেকেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব শ্রেনীপেশার মানুষ আসতে থাকেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সবার হাতে ফুল আর পতাকা। পড়নে তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই লাল সবুজের পোশাক। লাল সবুজের এক মিলনমেলায় পরিনত হয় পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পনের পরেই স্মৃতি সৌধের প্রধান ফটক খুলে দেয়া হয় সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য।

বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বীর শহীদদের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর থেকেই স্মৃতিসৌধে জনস্রোত নামে। সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এখানে।

এদিকে সরকারি ছুটির কারণে বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আসেন সাভারের স্মৃতিসৌধে। দুপুরের পর পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা যেন লাল সবুজের এক খন্ড বাংলাদেশে পরিনত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement