মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সরকারকে বাধ্য করার কথা জানালেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তিনি বলেছেন, জনগণকে সাথে নিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন করতে সরকারকে বাধ্য করব।
আগামী তিন মাসে প্রতিটি জেলায় সফর করে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করব। রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। অতএব কাউকে লুটপাট করে খেতে দেবো না। তিনি সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলা এলডিপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কেউ বিশটি দালানের মালিক, কেউ পঞ্চাশটা দালানের মালিক। আগে যাদের রিকশায় চড়ার পয়সা ছিল না এখন তারা লেটেস্ট গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে। তারেক রহমান লন্ডনে থাকলেও চেষ্টা করেন দেশের মানুষের খবর নেয়ার জন্য; কিন্তু তার পক্ষে দেশের মানুষের বাস্তব অবস্থা জানা সম্ভব নয়। বর্তমানে কৃষক মাঠের ধান ঘরে উঠাচ্ছে না। মাঠেই ধান জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাহলে বোঝা যায় কৃষকেরা কী কষ্টে আছে।
তিনি বলেন, ডলারের দাম প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যেকোনো সময় ধস নামতে পারে। যতগুলো ব্যাংক বাংলাদেশে রয়েছে এতগুলো ব্যাংক ১৮ কোটি লোকের জন্য প্রয়োজন ছিল না। গত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন কিভাবে ভোট হয়েছে। প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগ, ভোটার ছিল পুলিশ-বিজিবি। ভোটের সাথে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বর্তমান সরকারের সাথে সাধারণ জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিভাবে চাঁদাবাজি দুর্নীতি হয়েছে, অন্ধকারে ভোট হয়েছে আপনারা দেখেছেন। এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেন, হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছে অনেকে জামিনও পায়নি। এই অবস্থায় বিএনপির লোকেরা শ্যুট-টাই পরে সংসদে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কিছু হতে পারে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিএনপি যদি নেতৃত্ব দেয় আমরা তাদের পেছনে কাজ করব। না হলে আমাদের পেছনে আসতে তাদের আহ্বান জানাব।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এলডিপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দিপেন দেওয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন হারুন প্রমুখ।