ফেনী জেলার সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি দুর্বৃত্তদের হাতে আগুনে পুড়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ। বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমীর বলেন,‘ফেনী জেলার সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি দুর্বৃত্তদের হাতে আগুনে পুড়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবার-পরিজনদের মত আমিও স্বজনকে হারানোর বেদনা অনুভব করছি। তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাকারীরা মানুষ নামের কলঙ্ক।
তিনি আরো বলেন, কোনো সভ্য মানব সমাজে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কখনো কল্পনাও করা যায় না। নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কেউ ঘটানোর সাহস না পায় সে জন্যই নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করছি ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি। আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফীক দান করুন। বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন : কামারুজ্জামানকে নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (১০ এপ্রিল ২০১৯)
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ‘অবদান এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের’ কথা স্মরণ দলটির আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।
তার এই দণ্ডের বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহবান জানায়। সরকার তা অগ্রাহ্য করে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহ যুগযুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘তিনি জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অন্যায়, অসত্য ও মিথ্যার বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে গিয়েছেন। তিনি সরকারের ষড়যন্ত্রের নিকট মাথা নত করেননি। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, “প্রাণের মালিক আল্লাহ।
সুতরাং তিনি ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই আসে না।” আমি তার শাহাদাত কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি এবং দেশবাসীকে তার রেখে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’