মঙ্গলবার শপথ নিচ্ছেন মোকাব্বির খান

একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শপথ নিচ্ছেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে তার কার্যালয়ে মোকাব্বির খানকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। সোমবার জাতীয় সংসদের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে মোকাব্বির খান সোমবার চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার বা বুধবার শপথ আয়োজনের অনুরোধ করেন বলে জানান সংসদ সচিবালয়ের সচিব জাফর আহমেদ। সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির দাবি করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদে যাচ্ছেন তিনি।

গণফোরামের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন,‘আমি ও আমার দল গণফোরাম আগামী ২ এপ্রিল বা ৩ এপ্রিল শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তবে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলছেন, দলীয় ফোরামে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গণফোরামের মনোনয়নে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মোকাব্বির খান। এর আগে ঐক্যফ্রন্টের আরেক সদস্য গণফোরাম নেতা (বহিষ্কৃত) সুলতান মনসুর শপথ নিয়েছেন। তবে দলীয় নিয়ম ভেঙে শপথগ্রহণ করায় তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা গেছে, গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয় তার এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে শপথ নেবেন মোকাব্বির খান।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন গণফোরামের দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।

ওই সময় মোকাব্বির খানও শপথ নেবেন বলে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সরে যান। এছাড়া দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ায় সুলতান মসসুরকে গণফোরাম থেকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

আরো পড়ুন : সুলতান মনসুর জাতির সাথে প্রতারণা করেছেন : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, (০৯ মার্চ ২০১৯)

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদে গিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর জাতির সাথে প্রতারণা করেছেন। তিনি নিজেকে ছোট করেছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের তেমন কোনো নেতা ছিলেন না। তার শপথ নেয়ায় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ক্ষতি হবে না। বিএনপি আগের সিদ্ধান্তেই রয়েছে। আমরা সংসদে যাচ্ছি না।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী নির্যাতন, খুন ও গণধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলাদল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নারীদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মহিলাদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে নারী দিবস এমন এক সময়ে আমাদের মাঝে এসেছে যখন বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত হচ্ছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের কথা, আজকে একজন নারী যিনি বাংলাদেশের নারী জাগরণের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছেন, মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই দখলদার সরকার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ও জনগণের অধিকার বঞ্চিত করে ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকার আজ সমগ্র জাতির ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা আজ আমাদের মা বোনদের রেহাই দিচ্ছে না। তাদের নির্যাতন করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আজ আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে লক্ষ করছি আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে, যিনি দীর্ঘকাল নারীদের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। নারী সমাজের মুক্তিও বেগম জিয়ার মুক্তির সাথে জড়িত। তাই আসুন এই দিনে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হই এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। তাহলেই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি নুরজাহান ইয়াসমীন, সহসভাপতি জেবা আমিন খান, কেন্দ্রীয় নেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, সাবিনা ইয়াসমীন, আমেনা বেগম, নুরুন্নাহার, পাপিয়া, রোকেয়া চৌধুরী ববি, মাহিয়া ইসলাম নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।