০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাঠে আগাম বিজিবি, সেনা মোতায়েন কি পিছিয়েছে?

মাঠে আগাম বিজিবি, সেনা মোতায়েন কি পিছিয়েছে? - নয়া দিগন্ত

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সারাদেশে শূরু হয়েছে প্রতিপক্ষের প্রতি হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙ্গচুর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও অন্যান্য দলের দাবি এবং পরিস্থিতি উত্তোরন ও নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রথমে জানিয়েছিল ১৫ ডিসেম্বরের পর সেনা মোতায়েন। এরপর বলা হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু এখন ইসি কি সেই সেনা মোতায়েন থেকে পিছিয়ে এসেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সেনা মোতায়েনে দাবির কারণে আগাম বিজিবি নামানো হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) নামানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শঙ্কা থাকায় আগাম নামালাম।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখনই সেনা নামানোর জন্য বলেছিল সোমবার। সেনা না নামিয়ে বিজিবি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনা ২৪ ডিসেম্বর নামবে। এজন্য তাদের যে প্রস্তুতি রয়েছে, তা সময়সাপেক্ষ। এখনই তাদের নামানো যাবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সবাই অভিযোগ করছেন যে, মাঠের পরিবেশ-পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিন দিন। তাই আমরা আপনাদের শঙ্কা কাটাতে মাঠে বিজিবি নামিয়েছি। বিজিবি নামালে যদি মাঠের পরিবেশ ঠিক থাকে তাহলে নামাবো না কেন?

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মাঠে বিজিবি নামানো হয়েছে। তবে কত আসনে নামানো হয়েছে তা আমি জানি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে পরে মাঠে নামানো হবে বিজিবি। যে স্থানে আগে দরকার সেখানে আগে নামানো হবে। আর যেখানে পরে নামালেও চলবে সেখানে পরে নামানো হবে।

এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে এক ১৬ প্লাটুন বা ৩৫ হাজার ৫৬০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসীন রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামানোর অংশ হিসেবেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাত থেকে দশদিন আগে নির্বাচনি এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। একই সময়ে এসব এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র‌্যাব মোতায়েন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছিলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ ডিসেম্বরের পরেই স্বল্প পরিসরে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হবে। সিইসি বলেন, প্রতিটি জেলায় সেনা সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। জেলা পুলিশের সহযোগীতায় কাজ করবেন। সেনাবাহিনী মূলত পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবে। তবে বক্তব্যে সেনা মোতায়েন করার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল