২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘২২ ডিসেম্বরের পর ধরপাকড় থাকবে না’

‘২২ ডিসেম্বরের পর ধরপাকড় থাকবে না’ - সংগৃহীত

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে হামলা ও ধরপাকড় যেভাবে বাড়ছে তা আগামি ২২ ডিসেম্বরের পর আর থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় এক্যফ্রন্টের নেতারা। ওই অবস্থায় প্রশাসনও সরকারের কথা শুনবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রোডমার্চের দ্বিতীয় পথসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রোডমার্চ করছেন। শনিবার তাদের দ্বিতীয় পথসভা গাজীপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকীর জন্য গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় হয়। সেখানে মান্না বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের জোয়ার দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা ড. কামাল হোসেন ও আ স ম আবদুর রবের ওপর হামলা করেছে। হামলা-মামলা করে থামানো যাবে না।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মান্না বলেন, ভোটের দিন কেন্দ্র ঘেরাও করে রাখতে হবে, যাতে কারচুপি না হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা আছেন বলে দাবি করেন মান্না।
আওয়ামী লীগ এখন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করে না, উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকের লড়াই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেখ হাসিনার রাজনীতির লড়াই।’

ঐক্যফ্রন্টে কোনো রাজাকার নেয়নি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা রাজাকারদের দলে টেনেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে ট্যাংক এলেও শেখ হাসিনা ভোটে জিততে পারবেন না। ২২ ডিসেম্বরের পর হামলা, ধরপাকড় থাকবে না। প্রশাসনও তখন তাদের কথা শুনবে না বলে তিনি জানান।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ১৯৭০–এর নির্বাচনে ভোটের ফল মেনে না নেওয়ায় অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। এবার কারচুপি হলে যুদ্ধ করবেন। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের পর থেকে একটা কর্মীর গায়ে হাত দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। এ ছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ২৫ মার্চ পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন।

শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের সভাপতিত্বে এ পথসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।

ঐক্যফ্রন্টের এ রোডমার্চে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হলেও তিনি রোডমার্চে অংশ নেননি। এরপর তারা ময়মনসিংহের ত্রিশালে ময়মনসিংহ-৭ আসনের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান লিটনের পক্ষে তৃতীয় পথসভা করেন। তাঁদের পরের পথসভাটি ময়মনসিংহ শহরে হওয়ার কথা।


আরো সংবাদ



premium cement
দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত

সকল