২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতালে গেলেই পাল্টে যান এরশাদ!

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। - ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ২০ অক্টোবর জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের ‘মহাসমাবেশে’ এরশাদ আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন, একটি দল ৭ দফা দিয়েছে, সরকার তা মানতে রাজি নয়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মানা সম্ভবও নয়। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলো স্বচ্ছ দিন হবে বলে মনে হয় না।

আর ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় গত ২৭ অক্টোবর শনিবার তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে এলেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এরশাদ। এরপর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ঠিক সাত দিন পর গত শনিবার রাজধানীর বনানীতে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে ‘সংশয় নেই’ বলে বক্তব্য দিলেন এরশাদ।

হাসপাতালে গিয়ে এমন কী পেলেন যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানেই তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন? হাসপাতালে যাওয়ার আগে বললেন এক কথা আর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বললেন ঠিক তার উল্টো। এর আগেও ২০১৪ সালেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এরশাদ ‘হাসপাতাল’ নাটক করেছিলেন।

বনানীর অনুষ্ঠানে এরশাদ আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখন আর কোনো সংশয় বা দ্বিধা নেই। যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন মাঠে শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর বিএনপি। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত কী হবে তা নির্ভর করছে বিএনপির ‘গতিবিধি’র ওপর। বিএনপি যদি ভোটে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আর যদি বিএনপি না আসে তাহলে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়া হবে।

শনিবার রাজধানীর বনানীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ এসব কথা বলেন।

পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মনিরের সঞ্চালনায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মেজর অব: খালেদ আখতার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলন।

 

আরো পড়ুন : নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০২


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। ছাত্ররা আন্দোলনের সময় বলেছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের মেরামত প্রয়োজন। আমরাও তাই চাই।

আজ শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত জাতীয় জোট আয়োজিত মহা সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।


সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন দলেন সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ দলের সিনিয়র নেতারা।

আরো দেখুন : এরশাদের মহাসমাবেশে চমক থাকছে কি?

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫০


এরশাদের আজকের মহাসমাবেশে কোন চমক থাকছে কি? এরকম প্রশ্ন অনেকের মনেই। কারণ নির্বাচনের আগে যেভাবে দল ও জোট ভাঙা-গড়া হচ্ছে তাতে এরশাদের দিকে দেশবাসীর আলাদা দৃষ্টি থাকবে।

জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ আজ শনিবার। বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

মহাসমাবেশ থেকে তিনি আগামী নির্বাচন, জোট গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন বলে দলটির নেতারা মনে করছেন। তবে মহাসমাবেশে এরশাদ কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তার কোন আগাম তথ্য দলের সিনিয়র নেতারা ও দিতে পারেননি। নতুন কোন চমক থাকবে না বলেই অনেকে মনে করেন।

এরশাদ দেশের রাজনীতির আবহাওয়া বুঝে যে কোন সময় যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এরকম উদাহরণ অতীতে অনেকবার দেখা গেছে। তাই সরকার ও এরশাদের ব্যাপারে কৌশলী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন দলের নেতা-কর্মীরা।

পাশাপাশি এ মহাসমাবেশ থেকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরও নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দেবেন। এ দিকে সমাবেশ সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জাতীয় পার্টিসহ সম্মিলিত জাতীয় জোটের বিভিন্ন দলের নেতারা। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সমাবেশ হওয়ায় একটি শোডাউন করতে চায় জাপা।

গতকাল সকালে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভামঞ্চ পরিদর্শন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ জনতা যোগ দেবে। এই সমাবেশ হবে আগামী রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। সমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশবাসীকে নতুন বার্তা দেবেন।

এ সময় জাপা মহাসচিবের সাথে ছিলেন, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, উত্তরের সভাপতি ফয়সল চিশতি, সোলেমান আলম শেঠ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ দিকে মহাসমাবেশ সফল করতে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। দলীয় পোস্টারের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ ‘চলো চলো ঢাকা চলো, এরশাদের মহাসমাবেশ সফল করো’ শিরোনামে নানা রঙের পোস্টারও শোভা পাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।

মহাসমাবেশের প্রস্তুতি বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক দলগুলো সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মহাসমাবেশ সফল করবে। তিনি বলেন, সারা দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং লাঙ্গলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। নির্বাচনের আগে পার্টি এবং জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস আরো দৃঢ় করতে এবারের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এখান থেকে জাতীয় পার্টির নতুন যাত্রা সূচিত হবে। এই মহাসমাবেশে শুধু ঢাকা শহর থেকে অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এ ছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর কদমতলী থেকে অন্তত দশ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক মহাসমাবেশে অংশ নেবেন।

এ দিকে মহাসমাবেশ সফল করার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টি প্রত্যেক থানা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছে। সাত দিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় প্রচার-মিছিল ও পথসভা করা হয়েছে। মহাসমাবেশের সফলতা কামনা করে গতকাল সকালে শ্যামপুরে মিছিল করেছে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া জাতীয় যুব সংহতি, ছাত্রসমাজ, মহিলা পার্টি, কৃষক পার্টি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, শ্রমিক পার্টিও আলাদা আলাদা প্রস্তুতি সভা করেছে।

জাতীয় পার্টির পাশাপাশি মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক ইসলামী ফ্রন্টও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। তারাও কয়েক দিন ধরে বৈঠক করেছেন সমাবেশ সফল করার জন্য। এ ব্যাপারে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম মতিন বলেন, মহাসমাবেশ সফল করার জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই ঢাকায় চলে এসেছে।


আরো সংবাদ



premium cement