২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোহেলকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি

সোহেলকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি - সংগৃহীত

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন  এ সম্পর্কে  দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশব্যাপী চলমান পাইকারী মামলা-হামলা-গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী মহাজোট সরকার এখন পতনের ভয়ে শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। অবৈধ সরকারের নির্মমতায় জনগণ ফুঁসে উঠেছে। সরকার প্রস্থানপথ খোঁজার জন্যই সারাদেশ নি:শব্দ করে কারাগারগুলোতে ঠেসে ঢোকানো হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের। সারাদেশের কারাগারগুলো রাজবন্দীদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। সরকার টিকে থাকতে কোথাও থেকে কোনও বার্তা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বিএনপি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ছাত্র রাজনীতি শেষ করার পরে সে ক্রমান্বয়ে বর্তমান অবস্থানে থেকে রাজনীতি করছে। একজন সজ্জন, মৃদুভাষী রাজনীতি হওয়ার পরও শুধুমাত্র সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে।

বেশ কিছু মামলায় জামিনের পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে সত্তর থেকে আশিটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা তার বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে বাড়ীঘর তছনছ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দলের পক্ষ থেকে হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।

এই সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ ।

আরো পড়ুন : বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০০

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেলকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া দিগন্তকে জানান, গুলশান  দুই নম্বর চত্বর এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাকে আটক করে ডিবি অফিসে নেয়া হচ্ছে। একই তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইয়েংর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি বলেন, হাবিব উন নবী খান সোহেলকে আটক করে গুলশান নিয়ে আসা হয়েছে।


তবে গুলশান থানার দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ধরনের কোন তথ্য তার জানা নাই।

আরো পড়ুন: খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ফিরিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ

কারাগারের ফটক থেকে বেগম খালেদা জিয়ার তিন আইনজীবীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কারাগারের সামনে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার কিছু পরে তারা আসেন। তবে পূর্বানুমতি থাকলেও সিদ্ধান্ত বদল করে মঙ্গলবার তাদের কারাগারের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে কারাগারের সামনে থেকে ফিরে যাওয়ার আগে এ দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার বলেন, অনুমতি থাকলেও আজকে (মঙ্গলবার) আমাদের খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।  আমরা এখন ফিরে যাচ্ছি। 


তিনি আরও বলেন, ‘২০ তারিখ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মামলার তারিখ আছে। আশাকরি  বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর)  দেখা করতে দিতে পারে।’

তার সাথে থাকা অপর দুই আইনজীবী হচ্ছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

সম্প্রতি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার সুবিধার্থে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে ঢাকা ৫ম বিশেষ জজ আদালতের কার্যক্রম পুরনো কারাগারের নিচতলার প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থানান্তিরিত করা হয়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সেখানে আদালত বসে। ওইদিন খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে বিচারককে বলেন, তিনি অসুস্থ। বার বার তিনি এ আদালতে আসতে পারবেন না। যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ধার্য তারিখে আবার সেখানে আদালত বসে। কিন্তু সেখানে আসতে কারা কতৃপক্ষের কাছে অস্বীকৃতি জানান খালেদা জিয়া। এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে না এলে বিচারক মামলাটির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া আসবেন কি না তা তার আইনজীবীদের কাছে জানতে চান।

তখন তার আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ঠিক কী কারণে আদালতে আসতে চাইছেন না সেটি তার সঙ্গে কথা বললে জানা যাবে। এজন্য আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চান তার আইনজীবীরা। আদালত তখন তাদের দেখা করার ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষকে জেলবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী আজ  খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল তার আইনজীবীদের।  

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই বয়সজনিত বিভিন্ন রোগসহ আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিএসএমএমইউ গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে তাকে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা এজন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করলেও খালেদা জিয়ার নিজের পছন্দ ইউনাইটেড হাসপাতাল।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল