১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


ফিলিস্তিনি জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাঁদাবাজির শিকার : হামাস

-

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক চাঁদাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন বা হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনি জাতির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অনৈতিক আচরণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। শনিবার গাজা উপত্যাকায় এক বক্তব্যে এ কথা বলেন হামাসের মুখপাত্র ফৌজি বারহুম।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সঙ্কটকে মুছে ফেলার মার্কিন-ইহুদি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনি জাতির ওপর কথিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ চাপিয়ে দেয়ার অশুভ লক্ষ্যে এই চাঁদাবাজির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি মার্কিন ও ইসরাইলি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ফিলিস্তিনি জাতির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ নামের শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে ফিলিস্তিনের ওপর জোর ইসরাইল জবরদস্তি করছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার। ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র ইউসুফ আল-মাহমুদ বলেন, দুনিয়ার কোনো শক্তিই ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের নেতৃত্বের ওপর এ পরিকল্পনা চাপিয়ে দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, একের পর ফিলিস্তিনি শহরগুলো দখল করে নেয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের চক্রান্ত করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’-তে দুই রাষ্ট্রের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দখলকৃত গাজা উপত্যকা চলে যাবে মিসরের অধীনে। আর দখলকৃত পশ্চিম তীরের একাংশে থাকবে জর্ডানের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ শাসন করবে ইসরাইল। এখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ইসরাইল রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে ফিলিস্তিনি নেতারা ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলে ফিলিস্তিনকে রাজি করাতে এগিয়ে আসেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনা পিএলওর কাছে তুলে ধরেন।
হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ওসামা হামদান বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ফিলিস্তিনকে চাপ দিতে আরব দেশগুলোকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা যে সমাধানের কথা বলছে সেটা আসলে ইসরাইলের স্বার্থ সংরক্ষণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ফিলিস্তিন-ইসরাইল সঙ্কট নিরসনে শতাব্দীর সেরা শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের ইসরাইল ঘেঁষা নীতি, ইসরাইলের সাথে তার জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক, আরব রাষ্ট্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ভূমিকাসহ সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে ট্রাম্পের আসন্ন শান্তি পরিকল্পনায় ভরসা করা কঠিন বলে মনে করে ফিলিস্তিনিরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement