২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিগগিরই কিমের সাথে বৈঠকের আশা ট্রাম্পের

-

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সাথে দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে ‘খুব বেশি দেরি হবে না’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইনকে পাশে নিয়ে সোমবার ট্রাম্প এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প বলেন, কিমের সাথে বৈঠকের বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সম্পর্ক এখন খুবই ভালো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসাধারণ। বছরখানেক আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিত। কিন্তু চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর ওই সব হুমকি-ধমকি থেমে গেছে। নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও ‘শিগগিরই’ পরবর্তী সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। তবে কোথায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগেই উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন; দশককালের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সেটিই ছিল কোনো দক্ষিণ কোরীয় নেতার প্রথম সফর। সোমবার নিউ ইয়র্কে মুন বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণে চেয়ারম্যান কিম দৃঢ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি নিশ্চিত করতে পারব।
এছাড়া কিম ট্রাম্পের সাথে ফের দ্রুত সাক্ষাৎ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে জুনে হওয়া বৈঠকটিই ছিল দায়িত্বে থাকা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দুই নেতা নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা, কোরীয় উপদ্বীপের ‘সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে’ কাজ করতে ও সেখানের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি গড়ে তোলার লক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় এবং কিভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ অর্জিত হবে ও যাচাই করা যাবে তার উল্লেখ না থাকায় সমালোচকেরা এ চুক্তিকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প-কিম বৈঠকের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত। সিউলের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি নির্মাণে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে। যে পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ঘিরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছিল, উত্তর কোরিয়া তাদের সেই পুঙ্গি-রি পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রটি ভেঙে ফেলেছে। উত্তরের প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিম। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূরক ব্যবস্থা নিলে পিয়ংইয়ং তার প্রধান পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রও অকার্যকর করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক

সকল