২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতিসঙ্ঘে বাড়ছে চীনের প্রভাব

জাতিসঙ্ঘে বাড়ছে চীনের প্রভাব - ছবি : সংগৃহীত

এ সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে থাকা গুঞ্জনগুলো যেমন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, ঠিক তেমনি নিরবে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবও অনেক পশ্চিমা কূটনীতিকের কাছে সমান উদ্বেগের বিষয়। চীন শুরু থেকেই জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অংশ হিসেবে থাকলেও সবসময় যেন একটু পেছনের সারিতেই থাকত। সেই চীন এখন নিজের জাতিসঙ্ঘে নিজের প্রভাবশালী আসন খুঁজছে।

জাতিসঙ্ঘের বাজেটে অবদান বৃদ্ধির পাশাপাশি তারা বিশ্বব্যাপী নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করার দিকেও দৃষ্টি দিচ্ছে। মানবাধিকারের ওপরও নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক রিচার্ড গোয়ান বলেন, মূলত কয়েক দশক ধরেই এটি ধীরে ধীরে হয়ে আসছিল, কিন্তু ইদানিং এটি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল, ইউনেস্কোসহ যে সব সংস্থা থেকে সরে যাচ্ছে, চীন সে জায়গাটি নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে। আবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সরে যাওয়ার মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘে ইউরোপীয়দের আওয়াজ তুলনামূলক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একই সময়ে চীন জাতিসঙ্ঘে নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করে তুলছে।

শান্তিরক্ষায় এখন চীন জাতিসঙ্ঘের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০০৩ সালেও যেখানে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে চীনের আর্থিক অবদান ছিল মাত্র তিন শতাংশ, এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশে। আগামী পাঁচ বছরে চীন শান্তিরক্ষায় জাতিসঙ্ঘকে ১০০ কোটি ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সহায়তা তারা হ্রাস করতে শুরু করেছে।

এদিকে চীন তার আট হাজার সেনা সদস্যকে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রেখেছে। চীন ২০১২ সাল থেকে একা শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যত সেনা পাঠাচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার সদস্যের মোট পরিমাণটিও তার চেয়ে নিচে অবস্থান করছে। তবে জাতিসঙ্ঘের এখন যে ১৫টি শান্তি মিশন চলছে তার কোনোটিতেই শীর্ষ পর্যায়ে চীনাদের কোনো অবস্থান নেই। চীন এক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের কাছে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান দাবি করেছে। চীন এখন শান্তিরক্ষী বাহিনী ও তার উন্নয়নে যে ভূমিকা পালন করছে, তার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, তারা শীঘ্রই জাতিসঙ্ঘের পোর্টফোলিওতে মানবাধিকারের তৃতীয় স্তম্ভ যোগ করবে। এর ফলে বিভিন্ন সংলাপ, সমঝোতা পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে বড় একটি চাপ হয়ে দেখা দেবে।

আরো পড়ুন :

বেইজিং-ওয়াশিংটন বাণিজ্যযুদ্ধ ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কার্যকর
রয়টার্স

চীনা পণ্যের ওপর তৃতীয় দফায় মার্কিন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গতকাল সোমবার থেকে। দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব চলাকালে অবস্থায় চীনের বিরুদ্ধে আরোপ করা সবচেয়ে বড় আকারের শুল্কের সিদ্ধান্ত ছিল এটি।

২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের অন্যায্য বাণিজ্য নীতিকে। চীন এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আন্তঃদেশীয় অর্থনীতিতে সর্বকালের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছে।

জুলাইয়ে শুল্ক আরোপ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হলো।

যেসব চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান সেসব পণ্য আমদানি করতে চাইলে এখন তাতে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক প্রদান করতে হবে। প্রায় ৬ হাজার পণ্যের ওপর এই শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন থেকে এত বেশি পণ্যের ওপর কখনো এত বড় মাপের শুল্ক আরোপ করা হয়নি। হ্যান্ডব্যাগ, চাল ও কাপড়ের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে স্মার্ট হাতঘড়ি ও চেয়ারের মতো পণ্য শুল্কের আওতায় পড়বে না।

দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে ২০১৯-এ শুরু থেকে এই শুল্কের হার ২৫ শতাংশে এ উন্নীত হবে। এর বিপরীতে ছোট আকৃতির মার্কিন বিমান, কম্পিউটার ও টেক্সটাইল পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন। রাসায়নিক দ্রব্য, গোশত, গম ও মদের ওপর আরোপ করা হয়েছে ১০ শতাংশ শুল্ক। এ বছর এখন পর্যন্ত তিন দফায় ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জুলাইয়ে তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউজ। এরপর গত মাসে দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। প্রতিশোধ হিসেবে চীনও পাঁচ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। বিশেষত ওই সব পণ্যে, যেসব পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে মার্কিন কৃষকরাÑ যাদের বেশির ভাগই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের জন্য কাজ করতে আ’লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ ওলামা দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার

সকল