০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইহুদি রাষ্ট্র আইনের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আরবদের বিক্ষোভ

-

ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণায় প্রণীত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার আরব জনগণ। আরবদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে এই বিক্ষোভে ইসরাইলের অনেক ইহুদিও মিছিলে অংশ নেয়। শনিবার মধ্য-তেলআবিবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হওয়া ‘জাতিরাষ্ট্র বিষয়ক আইন’ অনুযায়ী দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ইসরাইল রাষ্ট্রকে ঐতিহাসিকভাবেই ইহুদিদের জন্মভূমি আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়, সঙ্গত কারণেই এখানকার মাটিকে নিজেদের দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের। আইনে অবিভক্ত জেরুসালেমকে নিজেদের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিতর্কিত এই আইনে ইসরাইলকে প্রথম ও একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বলা হয় ইসরাইল শুধু ইহুদি নাগরিকদের রাষ্ট্র।
দেশটিতে প্রায় ৮৮ লাখ আরব সংস্কৃতির মানুষের বসবাস, যারা আরবি ভাষায় কথা বলেন। তাদের দ্রুজ বলা হয়। ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র বানানোর আইনটির বিরুদ্ধে সোচ্চার এই জনগোষ্ঠী। শনিবার রাজধানী তেল-আবিবে হাজার হাজার আরব বিক্ষোভকারী পথে নেমে আইনটির বিরোধিতা করে। তাদের হাতে ছিল ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পতাকা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তারা বলেন, এই আইনটি তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে রূপান্তরিত করবে।
ওই কর্মসূচিতে ইসরাইলের ইহুদিরাও অংশ নিয়ে আরব নাগরিকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। শনিবারের বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলকে অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্ণবাদী রাষ্ট্র আখ্যা দেয়া হয়। হিব্রু আর আরবি ভাষায় লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড আর ব্যানারে দাবি তোলা হয়, ‘বর্ণবাদকে গ্রহণ করা যায় না’ কিংবা ‘সমতাই শেষ কথা’ জাতীয় বক্তব্য হাজির করা হয় সেসব ব্যানার-প্ল্যাকার্ডে।
উল্লেখ্য, ইহুদি ধর্মের নামে, ‘জায়নবাদ’ নামের মতবাদের মধ্য দিয়েই ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসরাইল রাষ্ট্র। জায়নবাদ ইহুদি ধর্মের দর্শন নয়, এটি একটি রাজনৈতিক মতবাদ; অলীক রূপকথায় যে মতবাদের শরীর গড়ে উঠেছে। জায়নবাদের ভাষ্য, জেরুসালেমসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত পবিত্র নগরীতে স্রষ্টা তাদের অধিকার ফিরিয়ে নিতে বলেছিল! ইতিহাসে নজর ফেরালে দেখা যায়, ১৮ শতক থেকে জায়নবাদ নামের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা তাদের বর্ণবাদী ধারণার বিস্তার ঘটিয়ে দখল হওয়া ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম দেন। জায়নবাদের মাধ্যমে তখন থেকে আজ পর্যন্ত ইহুদি জনগণের মনে ফিলিস্তিন বিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। সেই বিদ্বেষী প্রচারণা সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসরাইলিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈরি করে তুললেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও রয়েছে সেখানে।
এরইমধ্যে পাস হওয়ার পর ওই আইনের নিন্দা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মিসরও এই আইনপাসের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আরব নাগরিকেরা এই আইনকে বর্ণবাদী আইন আখ্যা দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় পূর্ব আফ্রিকায় মানবিক সঙ্কটের অবনতির হুমকি স্বরূপ এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিসরের আলোচনা দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস আ’লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের খারকিভ-নিপ্রো অঞ্চলে আহত ৬ যুদ্ধবিরতি : নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল হামাস কাশ্মিরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর গাড়িতে হামলা, হতাহত ৫ সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলল সেদিন কেন এমন করেছিলেন শাহরুখ!

সকল