২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আধুনিক দাসত্বের শিকার বিশ্বের ৪ কোটি মানুষ

আধুনিক দাসত্বের বিরুদ্ধে স্টকহোমের সের্গেলস তোর্গ স্কয়ারে বিক্ষোভ : ইন্টারনেট -

সারা বিশ্বে আধুনিক দাসত্বের শিকার চার কোটির বেশি মানুষ। আর বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই সংখ্যা চার লাখের বেশি। মহাদেশ হিসেবে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি উত্তর কোরিয়ায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই দাস প্রথার শিকার।
১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২ নম্বরে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ৯২ হাজার মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘দ্য গ্লোবাল স্লেভ ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক দাসত্ব সূচক নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করা সংগঠন ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রতি বছর এ সূচক রিপোর্ট তৈরি করে। বিশ্বের ১৬৭ দেশে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি মানুষ রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া শ্রম, জোরপূর্বক বিয়ে ও যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যার চেয়ে সারা বিশ্বে এই সংখ্যা প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাদের হিসেবে বিশ্বে ৪ কোটি ৩ লাখ এই দাসত্বের শিকার।
ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন জানায়, আধুনিক দাসত্ব বিষয়টি অনেক জটিল। সীমানা পেরিয়ে এই অপরাধের পরিধি বিস্তৃত। এই সূচক তৈরিতে জাতীয় পরিসংখ্যান, জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতো সংগঠনেরও তথ্য যুক্ত করেছে ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন। তবে যারা এই জোরপূর্বক শ্রমের শিকার শুধু তাদেরই আধুনিক দাসত্বের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ফরেস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ। আর এখানেই ৪ লাখ মানুষ দাসের মতো জীবনযাপন করছেন। জোরপূর্বক শ্রম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যায় সারা বিশ্বের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’ রিপোর্টে দাবি করা হয়, এশিয়া মহাদেশে এই আধুনিক দাসপ্রথা সবচেয়ে বেশি। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ। দেশটির ২৬ লাখ জনসংখ্যার প্রতি ১০ জনের একজন এই দাসত্বের শিকার।
বিশ্বে মোট আধুনিক দাসত্বের শিকারের এক-তৃতীয়াংশই জোরপূর্বক বিয়ের মাধ্যমে এই অবস্থায় পড়েছেন। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় দেড় কোটি। নারীরাই এর শিকার হয় বেশি। এতে বলা হয়, ‘সাংস্কৃতিকভাবেই মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেয়ার এই চর্চায় যৌন নিগ্রহ, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। যার শেষ হয়ে আধুনিক দাসত্বে।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট

 


আরো সংবাদ



premium cement
৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের

সকল