২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপি ও আ’লীগের আসন ভাগাভাগি এখনো কেন চূড়ান্ত হলো না?

বিএনপি ও আ’লীগের আসন ভাগাভাগি এখনো কেন চূড়ান্ত হলোনা? - সংগৃহীত

আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত দুই প্রধান দল - আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, তাদের জোট শরীকদের সাথে সিট ভাগাভাগির বিষয়টি ফয়সালা করেনি।

জানা গেছে, এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকে বিএনপির সাথে সিট ভাগাভাগি নিয়ে ফয়সালা না হওয়ায় জোটের শরীকরা নিজেদের মত করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু এতদিনেও কেন বিষয়টি ফয়সালা হচ্ছেনা?

এ ব্যাপারে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান,‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দুইটি দল এখন ড্রাইভিং সিটে আছে, তাদের সাথে থাকা ছোট দলগুলোর সাথে এখন তাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে যে তাদের জন্য তারা কিছু সিট ছেড়ে দেবে।’

‘এক্ষেত্রে ওই দলগুলোর মধ্যে বড় ধরণের দর-কষাকষির কোনো প্রয়োজন নেই।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জোটে ড. কামাল হোসেনের ইমেজটা খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন,‘একইসাথে ভোটের জন্য বিএনপিকে দরকার। এক্ষেত্রে দুইপক্ষ একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য।’

তিনি বলেন,‘এখন এই দর-কষাকষি সময়ের মধ্যে অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই শেষ হলে ভাল হতো। এখনও ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তারা হয়তো পুরো সময়টা নেবে। কেননা রাজনৈতিক দলগুলো এ ধরণের সিট ভাগাভাগির বিষয়গুলো শেষ পর্যন্ত দর-কষাকষি করে থাকে।’

এই সিট ভাগাভাগির বিষয়টিকে বেশ জটিল প্রক্রিয়া উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘বড় দলের অনেক বড় বড় প্রার্থী আছেন, ভাল প্রার্থী আছে। এমনও হয়েছে যে বড় দলের একজন এমপি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ জোটের আরেক বড় নেতার কথা ভেবে তাকেও নিজের সিটটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।’

তবে বড় জোটের মধ্যে এ ধরণের জটিলতাকে তিনি স্বাভাবিক বলেই উল্লেখ করেন। যেই জটিলতা এক পর্যায়ে সমাধানও হয়ে যায়।

কারণ প্রতিটা জোট দেয়া-নেয়া এবং ছাড় দেয়ার মানসিকতার ভিত্তিতেই গঠিত হয়।

তাই সিট ভাগাভাগির জেরে কোনো জোট ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

তবে আগেভাগে এই সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি ছোট শরিক দল যদি তাদের ৪০ বা ৫০ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে থাকে, তখন এই জটিলতার সুরাহা হবে কীভাবে?

এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘দুটো দল এক্ষেত্রে সবার থেকে প্রত্যাহার পত্র নিয়ে নিয়েছে। প্রত্যাহার পত্র নিয়ে নিয়েছে এইজন্য যে, জোটের মধ্যে সমঝোতা করতে গিয়ে কাউকে প্রত্যাহার করতে বা ছাড় দিতে হতে পারে। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন প্রত্যাহার পত্র দিলেই উনি বাদ হয়ে যাবেন।’


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনকে দ্রত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

সকল