২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
স্বর্ণ কেলেঙ্কারি

সারা দেশে তোলপাড়

-

রিজার্ভ কেলেঙ্কারির ক্ষত না শুকাতেই স্বর্ণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার ভল্টে জমা রাখা ভালো মানের স্বর্ণগুলো বদল করে সেখানে নি¤œমানের স্বর্ণ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। অভিযোগ করেছে সরকারেরই আরেকটি সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সব সোনা ঠিক আছে, ঘরেই আছে। যেটুকু ভুল হয়েছে তা কেবলই কারিক্যাল। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ এমন ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। স্বর্ণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সারা দেশে এখন তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসছে ক্ষোভযুক্ত নানা মন্তব্য-বক্তব্য। যদিও এ নিয়ে তদন্ত চলছে। মাঠে কাজ করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্লেষকদের মন্তব্য, তদন্তে যে সত্য-ই বেরিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সঙ্কর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। এতে বলা হয়, দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রতি ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীা করে বেশির ভাগের েেত্র এ অনিয়ম ধরা পড়ে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপকে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
জানা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। গত জানুয়ারিতে কমিটি শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনটি এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয় ২৫ জানুয়ারি। পরিদর্শন দল ভল্টে রাখা স্বর্ণের যাচাই-বাছাই শেষে বেশ কিছু পর্যবেণও তুলে ধরেছে। এ সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নড়ে চড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়। তড়িগড়ি করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সচিবালয়ে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।
সব সোনা ঠিক আছে : প্রতিমন্ত্রী
স্বর্ণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান দাবি করেন ভল্টে রতি ৯৬৩ কেজি সোনায় যে গরমিলের কথা বলা হয়েছে তা মোটেই ঠিক নয়। সব সোনা ঠিক আছে, ঘরেই আছে। এ কথা যে সঠিক তা জনগণ বা যেকোনো সংস্থা চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে দেখে আসতে পারে। তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশের সমস্যা হয়েছে, এটি ‘কারিক্যাল ইরর’। লেখার মধ্যে ইংরেজি বাংলা মিশ্রণ হয়ে গেছে। কিছু ব্যাপার আমরা করি, মান্ধাতা আমলের সোনা মাপার কষ্টিপাথর দিয়ে পরীা করা হয়, এখন সর্বশেষ কিছু সিস্টেম ইলেকট্রনিক যন্ত্রে সোনার ক্যারেট মাপা হয়। এর মধ্যে চুল পরিমাণ কিছু বেশকম হতে পারে। উভয় নির্বাহী কর্তৃপ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, ভয়ের কিছু নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের দু’টি প্রতিষ্ঠান যখন একসঙ্গে কাজ করে, তখন মাঝেমধ্যে ধারণাগত ফারাক হতে পারে। এটি নতুন কিছু নয়। ভল্টের সোনা ঠিক আছে দাবি করে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে পরিষ্কার হয়ে গেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়ে বসছি, আরো বসব। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে আশ্বস্ত হয়েছে, যে মাত্রায় খবর পরিবেশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। অনেক বড় মাত্রায় এটি এসেছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় ওই খবর দেখে প্রথমে তিনি আঁৎকে উঠেছিলেন। এ সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। যেভাবে খবরের কাগজে এসেছে এটা ভয়াবহ ব্যাপার মনে হয়েছে। যতটুকু সম্ভব বিভিন্ন জায়গায় কথাবার্তা বলে তথ্য নেয়ার চেষ্টা করেছি। বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ব্যাখ্যা দেয়ার পর সেই উদ্বেগ প্রশমিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভল্টে রতি সোনা বদলে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আইনানুগভাবে খতিয়ে দেখা হবে। অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলেই এ পদপে নেয়া হবে। এতে সব ধরনের সন্দেহ ও সংশয় দূর হবে। ঘটনাটিকে মোটেও ছোট করে দেখা হচ্ছে না, কারণ সামান্য ফাঁক দিয়েও বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। পর্যালোচনা করে কারো বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে। ঘটনা তদন্তে কোনো কমিটি হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনা করব। আলোচনার ভিত্তিতে আমরা একমত হয়েছি, তারাও (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) একমত হয়েছেন যে, এটা দেখার বিষয় আছে। আমি মন্ত্রীকে ব্রিফ করব, তদন্ত কমিটি হবে নাকি পর্যালোচনা কমিটি হবেÑ ল্যাংগুয়েজটা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে এটা আইনানুগভাবে দেখা হবে। যাই করব, আইনের মাধ্যমে করা হবে। তদন্ত শব্দটি আমি ব্যবহার করছি না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভল্ট থেকে কিছু বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেও নেই। সেখানে ছয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে, গভর্নরও অনুমতি ছাড়া ভল্টে যেতে পারেন না। এ লেভেলে অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে ফারদার পর্যালোচনা করব। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ভীত নয়, তাদের গভর্নর বলে গেছেন, তাদের মনে কোনো সংশয় নেই, ঠিকই আছে সবকিছু। বাংলাদেশ ব্যাংক যাকে ‘কারিক্যাল ভুল’ বলছে, সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি নাÑ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পর্যালোচনা করব পুরো সিস্টেমের। এর মধ্যে নিরাপত্তা, মাপঝোঁক, ব্যক্তি, যারা কাজ করে সব কিছুই রিভিউ করা হবে। যদি কারো সামান্যতম গাফিলতি পাই, তাহলে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তদন্ত চলার সময় কেন বাংলাদেশ ব্যাংক বুঝতে পারল না যে, তাদের ভুল হয়েছেÑ এ প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এক বছর ধরে চিঠি চালাচালি হয়েছে, মাঝে মধ্যে একজনের চিঠি দিয়ে আরেকজনের জবাব পেতে দুই মাস লেগেছে, কিছু আমলাতান্ত্রিক গাফিলতি আছে।
রিপোর্টে কোনো ভুল নেই : গোয়েন্দা কর্মকর্তা
এ দিকে সব কিছু ঠিক আছে মর্মে করা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বর্ণ কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো: সহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে সোনা পরীা করে আমরা যা পেয়েছি, তদন্ত রিপোর্টে তা সঠিকভাবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়েছি। পত্রপত্রিকায় দেখেছি ৮০ শতাংশ ৪০ শতাংশ হয়ে গেছে। সেটি তাদের ব্যাপার। তবে প্রতিবেদনে সোনার ক্যারেটের পরিমাণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সঠিকভাবে উল্লেখ করেই তা পাঠিয়েছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ক্যারেটের সোনা জমা নিয়েছে পরে পরীার সময় তা পাওয়া যায়নি। সে সময় ভিন্ন ক্যারেটের সোনা পাওয়া গেছে। মেশিনে ও সনাতন পদ্ধতি উভয়ভাবে পরীা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দুই ভাবে পরীা করা হয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, সবাই একমত হয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লিখিত বক্তব্য পাওয়া গেলে পুনরায় তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।
১০ বছর ধরে নিলাম বন্ধ
নিয়ম অনুসারে মামলা নিষ্পত্তির পর রতি স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা হয়ে গেছে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ। অভিযোগ উঠেছে, এবারের স্বর্ণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিলাম না হওয়ার ঘটনার যোগসাজশ থাকতে পারে। ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এক দিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তার প্রশ্ন। যদিও নিলাম না হওয়ার জন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দায়ী করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে এমন একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, যাতে পানির দরে স্বর্ণ কিনে নিতে পারে। এত দিন পর্যন্ত তারা সিন্ডিকেট করে বাজারদরের চেয়ে অনেক কম মূল্যে স্বর্ণ কিনে নিতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেখানে কিছুই করার থাকতো না। ফলে বাধ্য হয়েই নিলাম বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
এ দিকে স্বর্ণ কেলাঙ্কারি নিয়ে সারা দেশে যখন তোলপাড় অবস্থা ঠিক তখনই গত বৃহস্পতিবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। যদিও তাদের দাবি, স্বর্ণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে দাম কমানোর কোনো সম্পর্ক নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে দেশের বাজারে তা সমন্বয় করতে এ দাম কমানো হয়েছে। বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জানান, দেশের স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে ওঠানামা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে আমরা বাড়াই, কমলে কমাই। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে তাই বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে দেশের বাজারেও দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরিতে কমেছে এক হাজার তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সনাতন পদ্ধতির দাম।
গভর্নর ও এনবিআর সদস্যকে প্রধানমন্ত্রীর তলব
এ দিকে স্বর্ণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য কালিপদ হালদারকে বৃহস্পতিবার গণভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুল্ক গোয়েন্দাদের গোপন প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় এবং বিভিন্ন মহলের মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। তাদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি উভয় পরে বক্তব্য শোনেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

সকল