২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজন ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন : গয়েশ্বর রায়

-

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, কথার ফুলঝুরি দিয়ে তারেক রহমান বা আমাদের নেতৃবৃন্দকে খুশি করার জন্য যদি ব্যস্ত থাকি, প্রকৃত অর্থে খালেদা জিয়ার জেলখানা হবে চিরস্থায়ী এবং তারেক রহমানের দেশান্তর হবে চিরস্থায়ী। সেই কারণেই আজকে আমাদের মূল দায়িত্ব- ‘ডু অর ডাই’, ‘মরি আর বাঁচি’- একটা কিনারা হোক। একাত্তরে যারা যুদ্ধ করেছে তারা ‘ডু অর ডাই’ যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে একটা দেশ দিয়ে গেছেন। আজকে আমাদেরও দায়িত্ব ডু অর ডাই। আমরা মরে গিয়েও যদি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা ভালো দেশ রেখে যেতে পারি তাহলে তারা এটা ভোগ করতে পারবে। নতুবা আগামী প্রজন্ম আমাদের চিতা বা কবরের সামনে গিয়ে অভিশাপ দেবে।
গয়েশ্বর বলেন, রাজনীতির একটা নির্ধারিত পথ আছে, সেই পথ হচ্ছে- খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে। খালেদা জিয়ার মতো একজন নেতৃত্বকারী, একজন আপসহীন নেত্রী জেলখানায় থাকবেন আর আমরা প্যারোল আর জামিন নিয়ে কোর্ট-কাচারিতে দৌড়াদৌড়ি করব কেনো? আমরা আন্দোলন করব রাজপথে, যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবেন। দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলনই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, মৃত্যু অনিবার্য, সেই মৃত্যু যদি আমি রোধ না করতে পারি তো জেলখানা রোধের জন্য আমি এতো কাপুরুষের মতো রাস্তায় নামতে পারব না কেনো? কী কারণে? খালেদা জিয়া জেলখানায় গেছেন আমরা ১০-২০-৩০-৫০ হাজার, এক লাখ লোক জেলে থাকতাম, খালেদা জিয়াকে আমরা কোন মাপকাঠিতে রাখলাম। উনি যে জেলখানায় গেছেন আমাদের মধ্যে ২-চারজন ২০-৫০টা ১০০টা গুলি খাইয়া রাস্তায় মরে যাইনি কেনো? জয়ললিতা একজন মুখ্যমন্ত্রী, তার জেল হলো তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ১৩ জন নাই, তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন। তাহলে আমরা?
তিনি বলেন, আমাদের মতো নেতা লালন-পালন, আমাদের মতো মন্ত্রী-এমপি- আরো অনেক কিছু হওয়ার পেছনে যার অবদান তার (খালেদা জিয়া) জন্য কি আমাদের কিছু করার আছে? নাই? যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের মধ্যে যারা সিদ্ধান্ত দেয়ার, অথচ আমরা যারা সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না, তাহলে আমাদেরকে ঘেরাও করেন না কেনো, আমাদের বাড়ি ঘেরাও করেন না কেনো?
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমাদের সামনে বেশি সময় নেই। একটা ইস্যুর মধ্যে সব ইস্যু রয়েছে। সেটা হলো গণতন্ত্রের ইস্যু, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু। এই দুইটা ইস্যু যদি ফয়সালা করতে পারি বাকি ইস্যুগুলো ভবিষ্যতে মিটবে। আর এটা যদি আমরা মীমাংসা না করতে পারি, গণতন্ত্রের সফলতা যদি দৃশ্যমান না করতে পারি তাহলে প্রতিদিন নয়, প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ইস্যু হবে। এই সরকার আজকে দেশ পরিচালনায় অক্ষম। দুর্নীতি ও ঘুষের মধ্য দিয়ে কোষাগার করেছে খালি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান গয়েশ্বর।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল