২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সেমিনারে বক্তাদের অভিমত

গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকেগেছে

-

দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ খাতে শিশুদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হলেও গৃহকর্মে চার দেয়ালের ভেতর শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হলে পারত পক্ষে কারো পক্ষেই তা জানা সম্ভব হয় না। সব সময় গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েও লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়। গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকে গেছে।
গতকাল দি ডেইলি স্টার ভবনে ‘শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার সুনিশ্চিতকরণ : সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ বিষয়ক জাতীয় মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ডস ও গ্লোবাল মার্চ এগেইনস্ট চাইল্ড লেবারের সহায়তায় মতবিনিময় সভাটি বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজন করে।
শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সরকার শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজের তালিকা তৈরি করলেও গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুশ্রম এর চেয়েও বেশি অনিরাপদ। বিএসএএফের গবেষণা ফলাফল উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, গৃহ শিশুশ্রমিকেরা গড়ে প্রতিদিন ১৭ ঘণ্টা কাজ করে, যা যেকোনো আইনেই নিষিদ্ধ। তাদের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা ওভারটাইম নেই, আবার নিজ পরিবার থেকেও এরা বিচ্ছিন্ন। সেই সাথে এই গোষ্ঠীটি যৌন নির্যাতনের ঝুঁকিতে থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুশ্রমকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো: মুজিবুল হক বলেন, সুবিধাবঞ্চিত গৃহ শিশুকর্মীদের অধিকার নিয়ে আমরা এখন নিয়মিত আলোচনা সভা করছি এটাকে এক প্রকার অগ্রগতি মনে করতে হবে। কেননা গৃহ শিশুকর্মী গোষ্ঠীটির অধিকার নিয়ে নিকট অতীতে তেমন কোনো সচেতনতাই ছিল না সবার মধ্যে। এদের অধিকার সুরক্ষার জন্য সবার মধ্যেই মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। এদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং গৃহ শিশুকর্মী কমাতে হলে সরকার ও এনজিওগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। কেননা আইন প্রণয়ন করে রাতারাতি এটা কমানো সম্ভব না।
টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির বলেন, সরকার আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এখনো অনুমোদন না করলেও শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে না।
শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমোকো উচিয়ামা বলেন, শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নীতিমালার বাস্তবায়ন না করলে তাদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: রেজাউল হক বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিকাশ ঘটার কারণে শিশুশ্রম আগের থেকে অনেক কমে গেছে। আগে আমাদের চার পাশে যত শিশুকে কাজ করতে দেখা যেত তা এখন আর দেখা যায় না। সেই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় শিশুশ্রম নির্মূলে সরকার বেশি গুরুত্ব প্রদান করায় দেশে শিশুশ্রম আগের তুলনায় এখন অনেক কম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস গভরন্যান্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রটেকশন ডিরেক্টর আব্দুল্লা আল মামুন। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য কাজ করলেও গৃহ শিশুকর্মীদের বিষয়টি সেখানে উপক্ষিত থাকছে। এই জন্য গৃহ শিশুকর্মীদের আইনি স্বীকৃতি খুবই দরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মাহবুবুল হক। তিনি বলেন, গৃহকর্মী নির্যাতন রোধের জন্য প্রথমে দরকার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা। আর এই জন্য প্রয়োজন ব্যাপক আকারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল