২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য প্রতি মাসে ২৫০ টন এসডোর গবেষণায় তথ্য

-

দেশে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ টন পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে জমা হয়। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো এর একটি গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকাল এসডো তাদের প্রধান কার্যালয়ে, পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর এর তিকারক প্রভাব, শীর্ষক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর সিঙ্গেল ইউস প্লাস্টিক (সুপ) বা পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের তিকারক প্রভাবগুলো তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এতে জানান হয়, নদী নালা খাল বিল জলাশয়ে জমে থাকা ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য মানবদেহে রক্তের সাথে মিশে ক্যান্সার, বিকলাঙ্গতা, বন্ধ্যত্ব, অকালে গর্ভপাতসহ নানা মারণব্যাধির কারণ হতে পারে।
এসডোর প্রাথমিক জরিপ থেকে জানানো হয়, শুধু পুরান ঢাকা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ টন পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক স্ট্রো এবং প্লাস্টিকের কাটলারি বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫% বর্জ্য হিসেবে জমা হয় নিকটবর্তী নদী, ড্রেন এবং সমুদ্রকে দূষণ করছে। পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক মাত্র একবার ব্যবহার করার পর তা ফেলে দেয়া হয়। পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে স্ট্রো, প্লাস্টিক কটন-বাড, খাদ্যপণ্যের মোড়ক, প্লাস্টিকের গ্লাস-কাপ, পানির বোতল এবং প্লাস্টিক ব্যাগ উল্লেখযোগ্য। এটি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তা পরিবেশে সহজে বিনষ্ট হয় না এবং খাদ্যজালসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের সাথে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
এসডোর পক্ষ থেকে এ রিপোর্টটি প্রকাশ করে এর চেয়ারপারসন এবং সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহারের ওপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ এবং আইন প্রণয়নের পেছনে আমাদের সংস্থা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তিনি সরকার এবং সর্বসাধারণ মানুষের কাছে পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।
বিএসটিআইর রাসায়নিক বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবুল হাসেম বলেন, পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আমাদের জনসচেতনতায় এগিয়ে আসতে হবে।
এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে বিকল্প সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। প্লাস্টিকের স্ট্রো-এর বিকল্প হিসেবে বাঁশের স্ট্রো, কাচের স্ট্রো, ধাতব স্ট্রো, পেপার স্ট্রো ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা এবং সব মানুষের জন্য একটি টেকসই এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলা।

 


আরো সংবাদ



premium cement