২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আগের চেয়ে বেশি দমনমূলক : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

-

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একটি আঘাত। এমনকি এটা আগের আইনের চেয়েও বেশি ‘দমনমূলক’ বলে অভিহিত করেছে সংগঠনটি।
‘মুজলিং ডিসসেন্ট অনলাইন’ বা ‘অনলাইনের ভিন্নমত দমন’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে সংগঠনটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নতুন আইনের অস্পষ্ট ও সামগ্রিকভাবে বিস্তৃত ধারাগুলো সাংবাদিক ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ভয় দেখানো বা বন্দী করা, ভিন্নমত দমন ও আক্রমণাত্মক নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সহকারী দণি এশিয়া পরিচালক দিনুশিকা দিসানায়েকে বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে ১২শ’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতীতের ধারা অব্যাহত থাকলে নতুন কঠোর আইন আরো বেশি দমনমূলক হবে’। তিনি বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অনেক উপায়কেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিন্নমত পোষণের অনেক বৈধ উপায়ের জন্য বিশাল জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক আইন ও মানের পরিপন্থী। অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করা উচিত।’ বাংলা ট্রিবিউন।
বাংলাদেশ সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়ার পরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, নতুন আইনে অনেক বিষয়ের সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা ও ব্যতিক্রম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এর মধ্যে ১৪টি অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ‘আইনের ২১ নম্বর ধারায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সঙ্গীত অথবা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনও ‘মিথ্যাচার’ বা প্রচারভিযানের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিশাল অঙ্কের জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’
অ্যামনেস্টি বলেছে, ওই আইনের ২৫ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রকে বিশেষ সুরা দেয়া হয়েছে, যা বৈধ রাজনৈতিক মতপ্রকাশকে নিষিদ্ধ করতে বা শাস্তি দিতে ব্যবহার করা হতে পারে। ২৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ বা প্রচারকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া এই আইনে সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থাকে চরম মতা দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডকে তিকর বা হুমকি মনে করলে তারা যে কাউকে তাৎণিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এমনকি এই সংস্থা চাইলেই ইন্টারনেট থেকে যেকোনো তথ্য বা উপাত্ত বন্ধ করে রাখা বা সরিয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারবে।
নতুন আইনের আওতায় যদি পুলিশ মনে করে, কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে পারে, তাহলে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করতে পারবে।
দিশানায়েকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রের পদেেপর নিরীা ও বিপরীত পদপে প্রহণের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা প্রক্রিয়া না থাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার বিবেচনা ব্যাপক ও নির্বিচার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ যদি মনে করে যে, তাদের অধিকার ুণ্ন হচ্ছে আর রাষ্ট্র তাদের মতামতকে অন্যায্যভাবে বন্ধ করে রাখছে, তাহলে সরকারকে অবশ্যই তাদের জন্য যথাযথ সুরা নিশ্চিত করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল