রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে স্ট্যান্ডরিলিজ
- সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর অফিস
- ২০ জুলাই ২০১৮, ০১:০৫
অবশেষে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার একটি ছবির সূত্র ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবির মুখে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। গতকাল রাত ৮টায় তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মোখতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্ট্যান্ডরিলিজ সংক্রান্ত চিঠি রাত ৮টায় থানায় এসেছে। তাকে ঢাকায় টুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে। সেখানেই তাকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি তুষারকান্তি মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, এক-এগারোর সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে গ্রেফতারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রংপুর কোতোয়ালি থানার বর্তমান ওসি বাবুল মিঞা। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যার সাথে অসদাচরণ করেন। বুধবার দুপুরে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ও তথ্য প্রমাণ আমরা ডিআইজিকে দিয়ে তাকে ১২ ঘন্টার মধ্যে রংপুর থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আমরা বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারো তার সাথে দেখা করে দাবি জানাই। সন্ধ্যায় তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে শুনে আমরা খুশি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিজয় অর্জিত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এই ওসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ, আসামিকে ধরে এনে ছেড়ে দিয়ে আর্থিক বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমরা করে আসছিলাম। এ ছাড়াও তিনি আমাদের নেত্রীকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানোর পর প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নিয়ে তাকে প্রত্যাহার করেছে।
ওসির বক্তব্য : এ ব্যাপারে স্ট্যান্ডরিলিজ হওয়া রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার সময়ে আমাকে ঘিরে কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। এসব ছবির সত্যতা থাকলেও যে ভাষায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে তা আদৌ সত্য তথ্যনির্ভর নয়। ওসি জানান, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ডিউটিতে তার দেহরী হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
২০০৭ সালেও ঢাকা কোর্টে তার নিরাপত্তায় আমরা নিয়োজিত ছিলাম। সেই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে। আমি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেইনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা