২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ৪ কিলোমিটার যানজট

-

পরিবহনের চাপে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্টরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়ায় ফেরি পারের জন্য বাড়তে থাকে যানবাহনের সারি। ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে ঘাটে নদীপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকা সত্ত্বেও একসাথে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। গতকাল শনিবার বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিল এলাকা পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন ফেরিতে ওঠার জন্য সিরিয়ালে রয়েছে। তবে এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাই বেশি।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ শেষে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকাগামী গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়েছে। এসব গাড়ি পারাপারে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। পাঁচটি ফেরিঘাট সচল রয়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ফেরি চলাচল করলেও ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ একসাথে হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেশি থাকার কারণে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাক পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
যানবাহনের দীর্ঘ লাইনে পরিবহনের যাত্রীদের ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের ওপর নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘপথ হেঁটে লঞ্চঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে ওই সব যাত্রীকে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের। এর মধ্যে গতকাল শনিবার দুপুরে প্রায় ২ ঘণ্টা মুষূলধারে বৃষ্টির ফলে হেঁটে ঘাটে পৌঁছতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থপনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য থাকলেও যাত্রী ও চালকদের শৃঙ্খলা না মানার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ, মাহেন্দ্র, অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানের মতো যানবাহনগুলো দৌলতদিয়া ঘাটের পাঁচ কিলোমিটার আগে থেকেই গোয়ালন্দ বাজার বাসস্ট্যান্ড ও পদ্মার মোড় দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এসব গাড়ি চর দৌলতদিয়া হয়ে সরু সড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ছোট গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে গোয়ালন্দ বাজার গরু হাট হয়ে রেলের পাশ দিয়ে ফকিরপাড়া হয়ে ঘাটের দিকে চলাচল করছে। এ যানবাহনগুলোর যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন জানান, সকাল থেকে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি বাড়তে থাকে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় চার কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ম্যানেজার মো: শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। সবগুলো ফেরি চলাচল করলে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ কাটিয়ে ওঠা যাবে।
অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রী চাপে দৌলতদিয়া ঘাটসহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি।

 


আরো সংবাদ



premium cement