সরেজমিন সদরঘাট : এখনো গ্রামে যাচ্ছে মানুষ
- ইকবাল মজুমদার তৌহিদ
- ০৮ জুন ২০১৯, ২০:০৩
ঈদের সময় নানা কারণে গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যেতে না পারায় ঈদের পর এখনো গ্রামে যাচ্ছে হাজারো মানুষ । শনিবার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় ঈদের পরও তুলনা মূলক অনেক যাত্রী গ্রামের উদ্দেশ্যে রাজধানী ছাড়ছেন।
ঈদের পর গ্রামে যাওয়ার কারন জানতে গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বিভিন্ন লঞ্চ যাত্রীদের সাথে কথা বলে নয়া দিগন্ত। পেশায় জাহাজের ইঞ্জিন চালক ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জাহিদ হাসান নয়া দিগন্তকে জানান, ঈদের আগে ছুটি না পাওয়ায় ঈদের পর মায়ের সাথে দেখা করতে ও স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গ্রামে যাচ্ছেন।
কেরানীগঞ্জের চড়াইলে বসবাসকারী ও এমভি ফারহান-৭ এর যাত্রী স্কুল ছাত্র সিয়াম নয়া দিগন্তকে জানান, ঈদের আগে লঞ্চে ভীড় থাকায় তার মুদি দোকানদার বাবা ঈদের পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে আজ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।
শেরে বাংলা নগরীর ব্যবসায়ী ও এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চ এর যাত্রী মোঃ আমির হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, পেশায় ব্যাবসায়ী হওয়ায় ছুটি-ছাটার কোন ঝামেলা নেই। ঈদের আগে ঢাকায় কিছু কাজ থাকায় গ্রামে যেতে দেরি হয়েছে। পরে ঈদের ভীড়ের কারণে আর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে গ্রামে ফিরা হয়নি। তাই আজ পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি।
তেঁজগাও এলাকার এক বাড়ির দারোয়ান মোঃ মোস্তাফা নয়া দিগন্তকে জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় তার পৈত্রিক বাড়ি। ঈদের সময় কর্মস্থল থেকে ছুটি না পাওয়ায় ঈদের পর পরিবারের সাথে দেখা করতে গ্রামে যাচ্ছেন তিনি।
পেশায় চাকুরীজীবী খুরশিদ আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, তিনি স্থায়ীভাবে বরিশালেই বসবাস করেন। এবারের ঈদে মায়ের সাথে ঢাকায় ঈদ করেছেন। তাই ঈদের পর আজ গ্রামে ফিরছেন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নির্জর নয়া দিগন্তকে জানান, তিনি ইউনিলিভার এ চাকুরী করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তার ছুটি ঈদের পর হয়েছে। তাই তিনি আজ গ্রামে যাচ্ছেন।
মোঃ সানি নামে এমভি সুন্দরবন-১০ এর যাত্রী এক যাত্রী নয়া দিগন্তকে জানান, তার গ্রামের বাড়ি ভৈরব ভবানিপুর। তিনি বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর জন্য বরিশাল সদরে যাচ্ছেন।
সুন্দরবন-১০ এর আরেক যাত্রী হাসিবুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানান, “আমরা মোহাম্মদপুর পরিবারসহ বসবাস করি। আমার বড় ভাইয়া সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ঈদের সময় ভাইয়া ছুটি না পাওয়ায় আমরা ঈদের পর গ্রামে যাচ্ছি।
এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের সুকানি নুরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ঈদের পরও কয়েকদিন বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা নানা কারণে গ্রামে ফিরেন। তবে সেই চাপটা ঈদের আগের মত নয়।
বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চ এর কেরানী মোঃ শাহিন নয়া দিগন্তকে জানান, তাদের লঞ্চের ১৮০ কেবিনের মধ্যে আজ ১৩৮ টি কেবিন এবং ৩০ টি প্রথম শ্রেণীর সোফার মধ্যে ১৫ টি বুকিং হয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন রাত ৯টায় লঞ্চটি টার্মিনাল ছাড়ার পূর্বে সবকয়টি কেবিন ও প্রথম শ্রেণীর সোফা ভাড়া হয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা