২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাশোগি হত্যাকাণ্ড : তদন্তে কী পেল জাতিসঙ্ঘ দল?

খাশোগি
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে যেখানে সাংকবাদিক মি: খাশোগিকে হত্যা করা হয়, জাতিসঙ্ঘের তদন্ত দলের প্রধান তুরস্ক সফরে গিয়ে সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। - ছবি : বিবিসি

জাতিসঙ্ঘের তদন্ত কমিটি সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের দ্বারা সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তুরস্কের তদন্ত করার উদ্যোগে সৌদি আরব বাধা দেয়ার সব চেষ্টা করেছে।

সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত বছরের ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন।

তখন সৌদি আরব ঘটানাটিই অস্বীকার করেছিল।

কিন্তু তুরস্কের কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানে যখন রোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসে, তোলপাড় সৃষ্টি হয় বিশ্বজুড়ে।

তুরস্কের সেই অনুসন্ধানে সৌদি আরবের বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা ছিল দৃশ্যমান।

এই বাধা সৃষ্টির বিষয়কে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে জাতিসঙ্ঘের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে।

তাতে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক মি: খাসোগিকে হত্যার ঘটনার যখন ১৩ দিন হয়, তখনও তুরস্কের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।

এভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল সৌদি আরবের পক্ষ থেকে।

জাতিসঙ্ঘের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সৌদি আরব তুরস্কের তদন্ত করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হত্যার ঘটনার পর ১৩ দিন পর্যন্ত তদন্তকারীদের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে যে দেয়নি, সেকারণে প্রথমদিকে তদন্তে সমস্যা হযেছে।

এরপরও তুরস্ক সাংবাদিক মি: খাসোগজিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনার তথ্য বের করেছিল।

সেই প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।

এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরব ১১জনকে বিচারের মুখোমুখি করেছে এবং তাদের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হচ্ছে।

সৌদি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, সৌদি আরবের একটি দুর্বৃত্ত দলের হাতে এই সাংবাদিক খুন হন।

কিন্তু ঘটনার সাথে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

প্রাথমিক তদন্তে আসলে কী বলা হয়েছে?
জাতিসঙ্ঘের তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সৌদি কর্মকর্তারা আগে পরিকল্পনা করে সাংবাদিক মি: খাশোগিকে নিষ্ঠুর এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। প্রাথমিকভাবে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

এই তদন্ত কমিটির প্রধান অ্যাগনেস ক্লামারড তদন্তের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তুরস্ক সফর করেছেন।

মিজ ক্লামারড তদন্তে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বাধা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন।

একইসাথে সৌদি আরবে ১১ জনকে বিচারের মুখোমুখি করার যে কথা বলা হচ্ছে, সেই বিচারের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মিজ ক্লামারড।

তবে মি: খাশোগির লাশের খোঁজ এখনো মেলেনি।

জাতিসঙ্ঘের এই তদন্ত কমিটির আগামী জুন মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল