রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
- এএফপি
- ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
সিরীয় বিদ্রোহীদের ব্যবহার করা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন শুক্রবার রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে এবং এ ধরনের হটকারিতামূলক কাজ করে অস্ত্র বিরতির ক্ষতিসাধনের বিরুদ্ধে মস্কোকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ নভেম্বর বিদ্রোহীরা সরকার নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো নগরীতে হামলায় ক্লোরিনযুক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরেও বলা হয়, আলেপ্পো নগরীতে বিদ্রোহীদের রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় প্রায় ১ শ’ সিরীয়কে শ্বাসক্রিয়ার জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিদ্রোহীদের এমন হামলার জবাবে রাশিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি ইদলিবে বিমান হামলা চালায়। এতে মধ্য-সেপ্টেম্বরে করা একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, আলেপ্পোতে হামলায় ক্লোরিনযুক্ত অস্ত্রের ব্যবহারের খবর যে মিথ্যা ছিল, সে ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে। এছাড়া এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেখানে হামলায় রাশিয়া ও সিরিয়ার সৈন্যরা টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। ব্রিটেন বলেছে, হামলায় বিদ্রোহীদের পক্ষে ক্লোরিনযুক্ত অস্ত্রের ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব।
নভেম্বরে ২৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল
আলজাজিরা
নভেম্বর মাসে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে তিনজন শিশু। পিএলও’র সেন্টার ফর স্টাডি অ্যান্ড ডকুমেন্টেশনের এক রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২১ জনই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। বাকিরা প্রাণ হারান অধিকৃত পশ্চিমতীরে। পিএলও জানায়, ইসরাইলি বাহিনী ৩৫ লাশ আটকে রেখেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনেই লঙ্ঘন।
এই এক মাসে গ্রেফতার হয়েছে ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ১২ জন গাজা থেকে। তাজা গুলি ও টিয়ার গ্যাসে আহত হয়েছেন ৮৫০ জন। তাদের মধ্যে ৪৯০ জন গাজা উপত্যকার এবং প্রায় ৩৬০ জন পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম থেকে। এছাড়া সাংবাদিকেরাও হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় নতুন ৬৪০টি বসতি নির্মাণেরও অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলের সীমানা নির্ধারণ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে এই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
ফিলিস্তিনিরা চায় পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করা হোক। আর ইসরাইলের দাবি, জেরুসালেম তাদের অবিভাজ্য-চিরন্তন রাজধানী। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্কট প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরেই স্বতন্ত্র দু’টি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিল আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই নীতি থেকে সরে এসে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা