২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এস-৩০০

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এস-৩০০ - সংগৃহীত

ইরানের এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার একই ধরনের ব্যবস্থার চেয়ে বেশি নিখুঁত বলে জানিয়েছে তেহরান। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি রোববার তেহরানে প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক সম্মেলনে বলেন, তার দেশের এস-৩০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, লাঞ্চার ও এটি বহনকারী সামরিক যান সম্পূর্ণ ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে দেশের ভেতরেই তৈরি হয়। তুলনা করলে ইরানের এ ব্যবস্থা রাশিয়ার একই ব্যবস্থার চেয়ে বেশি নিখুঁত ও কার্যকর বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের গবেষক ও কর্মীরা গত ছয় বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর এস-৩০০ ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এটি তেহরানের জন্য একটি বিশাল সাফল্য।

বিজ্ঞান, শিল্প ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে ইরান একটি ব্যাপক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে উল্লেখ করে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর তার দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে জড়িত গবেষক ও কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নত ট্যাঙ্ক বানাচ্ছে ইরান

১৯ জুলাই ২০১৮

ইরানের সামরিক বাহিনীকে আরো ৮০০ ট্যাংক সরবরাহ করা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ট্যাঙ্ক আইআরজিসি এবং ইরানের সেনাবাহিনীকে দেয়া হবে। এর মধ্যে ইরানের বিখ্যাত কারার ট্যাঙ্কও থাকবে।

ইরানের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজা মোজাফফারি-নিয়া বুধবার বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজকে একথা জানান। তিনি জানান, সেনাবাহিনী এবং আইআরজিসি’র চাহিদা পূরণের জন্য ইরান প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০টি ট্যাঙ্ক তৈরি করে।

গত বছরের মার্চ মাসে ইরান উন্নতমানের কারার ট্যাঙ্কের উদ্বোধন করে। উভচর শ্রেণির এ ট্যাঙ্ককে ইরানি প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসেইন দেহকান বলেছিলেন- গোলাবর্ষণের ক্ষমতা, নিখুঁতভাবে গোলা নিক্ষেপ এবং চলাচলের ক্ষমতার কারণে এ ট্যাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ট্যাঙ্কের অন্যতম। এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় এবং ট্যাঙ্কটি দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে।

কারার হচ্ছে ইরানে তৈরি প্রথম ট্যাঙ্ক যার পুরোটাই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল ব্যবস্থা, লেসার রেঞ্জফাইন্ডার এবং ব্যালিস্টিক কম্পিউটার অ্যান্ড অ্যাবিলিটি। এ ট্যাঙ্কের সাহায্যে রাতে ও দিনে একইভাবে অভিযান চালানো যাবে। এছাড়া, এ ট্যাঙ্ক গর্ত, নদী এমনকি পানির নিচ দিয়ে চলতে পারবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান সামরিক খাতে বিপুল অগ্রগতি লাভ করেছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগের তৈরি নানা ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এরইমধ্যে বিভিন্ন মহড়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে ইরান আকারেব নামে একটি নতুন ধরনের যুদ্ধট্যাঙ্ক উদ্বোধন করে। এ ট্যাঙ্কে ৯০ মিলিমিটারের কামান বসানো হয়েছে এবং চারজন সেনা বহন করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

সকল