জার্মানির জ্বালানি কোম্পানি ‘ডোরিওন’ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাবে। ইরানে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বিশাল প্রকল্পে কাজ করছে জার্মানির এই কোম্পানি।
ডোরিওনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাভে গুনলে বলেছেন, ইরানের নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রকল্পে তার প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। তিনি আরো বলেন, এক ব্যক্তি একক সিদ্ধান্তে যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছে তা প্রতিহত করা উচিত এবং এজন্যই তার কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান ত্যাগ করবে না।
জার্মানির এই শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, ইরান বিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অস্পষ্ট পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিন্তু তারপরও তার কোম্পানি ইরানে নিজের প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। ইরান ২০২২ সাল নাগাদ সৌরবিদ্যুৎ খাত থেকে ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় এবং এই বিশাল প্রকল্পে ডোরিওন কাজ করে যাবে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালন গুনলে আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতার বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার পর ইরানের নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে কাজ করার জন্য জার্মানী ও হল্যান্ডের একাধিক কোম্পানি এদেশে প্রবেশ করে।
তিনি জানান, তার কোম্পানি প্রাথমিকভাবে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পে হাত দিয়েছিল এবং এখন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের আরেকটি প্রকল্প শুরু করেছে। গুনলে বলেন, আমেরিকায় তার কোম্পানির কোনো ব্যবসা নেই বলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও কোনো আশঙ্কা তার নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে হুমকি দিয়েছেন, যেসব কোম্পানি ও দেশ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তারা আমেরিকার সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসা বা লেনদেন করতে পারবে না।
আমেরিকা তার মিত্রদেরকে অবজ্ঞা করে : জার্মানি
১৪ আগস্ট ২০১৮
জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার আল্তমেয়ার বলেছেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, আমেরিকা তার মিত্রদেরকে অবজ্ঞা করে। সে ক্ষেত্রে আমরা ওয়াশিংটনকে নির্দেশনা দেয়ার সুযোগ দেব না বরং আমরা ভিয়েনা পরমাণু সমঝোতার ওপর টিকে থাকব।
জার্মানির ‘বিল্ড অ্যাম সনট্যাগ’ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আল্তমেয়ার রোববার এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, কার সাথে আমরা বাণিজ্য করব ওয়াশিংটনকে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার অনুমতি দেবে না বার্লিন।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকা এমন কোনো অবস্থানে নেই যে, তারা বলে দেবে বার্লিন কোন দেশের সাথে বাণিজ্য করতে পারবে। ইরানের সাথে তার দেশের কোম্পানিগুলো বাণিজ্য অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জার্মান মন্ত্রী বলেন, তার দেশ আরো বেশি প্রত্যয়ী হবে বিশেষ করে ইরানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জার্মানি ও ইউরোপের অন্য দেশগুলোর স্বাধীন পথ অনুসরণ করা উচিত।
ইরানের বিরুদ্ধে যখন আমেরিকা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তখন জার্মান মন্ত্রী এমন কড়া বক্তব্য দিলেন। এবারই প্রথম ইরান ইস্যুতে মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলো অবস্থান নিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা