সম্প্রতি ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর চাপে পড়েছে হামাস। হামাসের শাসনে গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনধারনের মানের আরো অবনতি হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বহু মানুষ। অনেকের জন্য বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সহিংসতার মধ্য দিয়ে জীবন পার করতে গিয়ে পারিবারিক জীবনও অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। শিশুরা আক্রমণাত্মক হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি শুরু হওয়া সহিংসতায় তাদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে, বহু ফিলিস্তিনি চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকেই এতটাই শঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে যে বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচারিত হতে হতে তারা মুক্তির আশা প্রায় হারিয়ে ফেলছে। গাজায় কারো বাবা মারা গেছে, কারো ভাই মারা গেছে, অনেকে স্বামী হারিয়েছে, অনেকে হারিয়েছে সন্তান। যাদের পরিবারের কাউকে হারাতে হয়নি, তারাও স্বজন হারানোর শোক সহ্য করছে। এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে পরিবারকে ইসরাইলি বাহিনীর বুলেট অতিষ্ঠ করে তোলেনি। অনেকের শোবার ঘরের বিছানার চাদরে লেগে আছে রক্তের দাগ।
ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে পঙ্গু হয়ে দিনাতিপাত করছে অনেকে, অনেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। অর্থনৈতিক টানাপড়েন, জান-মালের নিরাপত্তাহীনতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সহিংসতায় অনেকের মানসিক অবস্থা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মানসিক অবস্থাও বেশ নাজুক। দীর্ঘ সময় ধরে গুলিবিদ্ধ আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা দিতে দিতে তারাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
এমন পরিস্থিতিতেও ফিলিস্তিনের দখলীকৃত পশ্চিম তীরে আরো তিন হাজার ৯০০ নতুন বসতি নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা টুইটারে প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডোর লিবারম্যান। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ২ হাজার ৫০০টি ইহুদি নতুন বসতি নির্মাণ পরিকল্পনায় অনুমোদন চাইবো। আগামী সপ্তাহে বসতি নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাইয়ার প্ল্যানিং কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব করা হবে। অবিলম্বে এসব বাড়ি নির্মাণের জন্য ১৪০০ হাউজিং ইউনিটকে দায়িত্ব দেবে আঞ্চলিক পরিকল্পনা বোর্ড। এছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ইতোমধ্যেই আরো ১ হাজার ৪০০ ইউনিট বসতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা উত্তর থেকে দক্ষিণে জুদেয়া থেকে সামারিয়া পর্যন্ত সর্বত্র ভবন নির্মাণ অনুমোদন করবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা