২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাজমুল হুদার ঘুষ নেয়ার মামলার তদন্ত চার মাসে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ

-

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চার মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার মামলাটি বাতিল চেয়ে নাজমুল হুদার করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

মামলা বাতিলের আবেদনে নাজমুল হুদা মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার পাশাপাশি মামলার তদন্ত বন্ধ রাখার আরজি জানিয়েছিলেন।
এ মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন। এতে বিবাদী করা হয় দুদকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মার্গারেট ওয়ান লিমিটেড নিয়োগ পায়। যোগাযোগমন্ত্রীর থাকাকালে নাজমুল হুদা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে তার স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন খবরের অন্তরালে পত্রিকার ব্যাংক হিসেবে জমা দিতে বলেন। ঘুষের টাকা না দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাতিল এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

পরে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকায় সম্মত হন নাজমুল গুদা ও সিগমা হুদা। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বও থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মার্গারেট ওয়ানের প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার চেকে ৬ লাখ টাকা জমা করা হয় সিগমা হুদার ব্যাংক হিসেবে।

২০০৮ সালের ১৮ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় হয়ে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।


আরো সংবাদ



premium cement