২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপি নেত্রী নায়াব ইউসুফ কারাগারে

জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে কারগারে নিয়ে যাওয়া হয় - নয়া দিগন্ত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জেষ্ঠ্য কন্যা বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে একটি হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের আদালতে জামিন নিতে হাজির হলে তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গিতে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে ইউসুফ বেপারী (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব বেপারী বাদি হয়ে ৩৮ জনকে আসামী করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত ওই মামলা নং- ৭৮৯/১৮। এই মামলায় ৩৭ নম্বর আসামী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ গত ৪ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। রোববার দুপুরে স্থায়ী জামিন লাভের জন্য জেলা জজ আদালতে হাজির হন তিনি। দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদনের উপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ রতন, অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদসহ প্রায় ২০ জন আইনজীবী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন। আইনজীবীগণ জামিন প্রার্থণা করে বলেন, মামলার এজাহারে চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নাম যুক্ত করা হলেও তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। এছাড়া নিহতের ইনজুরি রিপোর্টেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাই এটি আদৌ হত্যা মামলা কিনা সেটিই বিচার্য বিষয়।

জবাবে সরকারপক্ষের আইনজীবীগণ জামিনের বিরোধীতা করে বলেন, এজাহার অনুযায়ী তিনি সরাসরি এই মামলায় সম্পৃক্ত না হলেও তার হুকুমেই এই ঘটনা ঘটে। উচিত ছিলো তাকে প্রধান আসামী করা। সরকারপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, লক্ষণ সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলালউদ্দিন বলেন, সরাসরি উপস্থিত না হলেও মামলায় আসামীর রেফারেন্স দেয়া আছে। আসামীরা বলেছেন, উনি আমাদের নেত্রী, ইত্যাদি, ইত্যাদি। প্রায় ১৫ মিনিট জামিন শুনানী শেষে জেলা ও দায়রা জজ একটু পরে আদেশ দিবেন বলে জানান। এরপর বিচারক আদালত থেকে নামলে জামিন শুনানীর প্রায় ৫৫ মিনিট পরে আদালতের পেশকার জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও আসামীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশের কথা জানান।

এরপর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ছাড়াও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীলসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণের অভিযোগ করে জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়াসহ নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও মুক্তি দাবি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement