২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিখোঁজ সেই চার শিক্ষার্থী কারাগারে

- ফাইল ছবি

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় চার শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে এই চার শিক্ষার্থীকে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ এর সংবাদ ছড়িয়ে পরে। পরে বুধবার এই ৪ শিক্ষার্থীকে কাফরুল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এস.আই জিল্লুর রহমান তাদেরকে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার জন্য আবেদন করেন। আর শিক্ষার্থীদের পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মো. বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ডা. সৈয়দ মোমিনুল হাসান।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা বিএনপি জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা বোমা ককটেল তৈরি করে বিএনপি জামায়াতের নাশকতায় সহযোগিতা করে আসছিল। একইভাবে আসামিরা গত ১৭ ডিসেম্বর কাফরুল থানাধীন মিরপুরের ১৩ নং সেকশনস্থ ১/৩ পূর্ব বাইশটেকী, হাজী জব্বার সাহেবের বাসার সামনে এজহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিস কাফরুলে ভাঙচুর করে মামলার বাদীসহ ইউসুফ হাওলাদার, রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। গ্রেফতারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তথ্যের সঠিকতা পাওয়া না গেলে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পরে। তাই তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

আসামিপক্ষে এস এম কবীরুজ্জামান, কেএম শরীফুল ইসলাম আসামিদের জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, নির্বাচনের আগে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। আর ঘটনার সাথে তারা জড়িত না। তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। আমরা তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা গত ১ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের পর ওইদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে কাফরুল থানায় হস্তান্তর করেন।

অভিভাবকের তরফে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে চার শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে এসে বাসার উদ্দেশে বাসে ওঠেন। ফার্মগেটে তাদের বাসটি থামিয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। গত ১৭ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করেন তাঁতী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ

সকল