২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংসদে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

৮৭টি নতুন কেন্দ্র থেকে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে

-

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সবার জন্য বিদ্যুৎসুবিধা এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সরকার উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে ৮৭টি নতুন কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দেশে বর্তমানে গ্রীষ্মকালীনে বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার হাজার মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। ফলে দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
বিভিন্ন মেয়াদে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এ ছাড়া ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। অন্য দিকে ১ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এ ছাড়াও ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮৭টি কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের দুইটি স্থান থেকে ২ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চালু হবে। বর্তমানে (২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬ দশমিক ০১ টাকা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিগত ১০ বছরে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে দুইবার এবং ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে একবার করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়।
নসরুল হামিদ বিপু জানান, এসবের বাইরেও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে (২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬.০১ টাকা। পাশাপাশি বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিগত ১০ বছরে ছয়বার (২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সাল) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল